ফাইল চিত্র
পরস্পরের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপড়েন চরমে ঠিকই। তবে বিভিন্ন দফতরে ‘বিশেষ’ নিয়োগের প্রশ্নে রাজ্য সরকার কি কেন্দ্রের পথেই হাঁটতে চলেছে! প্রবল জল্পনা চলছে রাজ্য প্রশাসনের অন্দরে।
প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী বিভিন্ন দফতরে স্পেশাল সেক্রেটারি বা বিশেষ সচিব পদের সমমর্যাদায় অফিসার নিয়োগ করতে চাইছে রাজ্য সরকার। যাঁরা হয়তো ভবিষ্যতে সেই দফতরের পরামর্শদাতার ভূমিকা নেবেন বা অন্য কোনও কাজ করবেন। নির্দিষ্ট চুক্তির ভিত্তিতে তাঁরা নির্ধারিত সময়ের জন্য কাজ করবেন সরকারের হয়ে। এমন উঁচু পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মানানসই যোগ্যতামানও নির্ধারিত থাকবে। সরকারি ক্ষেত্রের বাইরে অন্যত্র বিশেষ কোনও কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন যোগ্য ব্যক্তিকেও নিয়োগ করা হতে পারে বলে প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকের ধারণা। শেষ পর্যন্ত সব ঠিক থাকলে অনুমোদনের জন্য এই পরিকল্পনাটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠানো হবে। তিনি অনুমোদন দিলে পরিকল্পনা রূপায়ণের পথে হাঁটতে পারে রাজ্য।
এক আধিকারিক বলেন, “একটি দফতরে বিশেষ সচিবের সমতুল পদমর্যাদার দু’-এক জন অফিসার থাকতেই পারেন। তাঁদের জন্য আকর্ষক বেতন বা সাম্মানিক ধার্য হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে।” এ বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে কিছু না-বললেও প্রশাসনের এক কর্তা জানান, গোটা বিষয়টি ‘হোম পার’ বা কর্মিবর্গ ও প্রশাসনিক সংস্কার দফতরের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। যদিও সেই দফতরের কেউ এই ব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি। স্বরাষ্ট্র ও হোম পার দফতরের সচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। জবাব দেননি মোবাইল-বার্তারও।
এমন নিয়োগে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশাসনে ‘ল্যাটেরাল এন্ট্রি’ নীতির সঙ্গে রাজ্যের ভাবনাচিন্তার মিল পাচ্ছেন প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে। তাঁদের বক্তব্য, রাজ্যের বিশেষ সচিব পদে সাধারণত অভিজ্ঞ ডব্লিউবিসিএস এগ্জ়িকিউটিভ অফিসারদেরই বসানো হয়। তবে কম হলেও অডিট ও অ্যাকাউন্ট সার্ভিস থেকেও এই পদে নিয়োগের দৃষ্টান্ত আছে। এ বার বাইরে থেকে এই পদের সমান মর্যাদায় অফিসার নিয়োগের পরিকল্পনা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ, কেন্দ্রের পদক্ষেপের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণও বটে। কেন্দ্র তাদের বিভিন্ন মন্ত্রকে যুগ্মসচিব পদমর্যাদায় বিভিন্ন ক্ষেত্রের অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অনেক আগেই। সাধারণত, সেই পদ আইএএস-দের জন্যই নির্ধারিত থাকে। ওই কেন্দ্রীয় নীতিতে অন্য ক্ষেত্রের অভিজ্ঞ এবং উচ্চ পদে কর্মরত ব্যক্তিরাও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে মন্ত্রকের কোনও দায়িত্ব পেতে পারেন যুগ্মসচিবের সমমর্যাদায়।
রাজ্য সরকারের এই পরিকল্পনা নিয়ে অফিসার শিবিরে দু’টি ব্যাখ্যা ঘোরাফেরা করছে। প্রথমত, সরকারের বিভিন্ন কাজ, বিশেষত দফতরগুলি কতটা সক্রিয় ভাবে কাজ করছে, তা যাচাই এবং খেয়াল রাখার জন্য অনেক দিন আগে থেকেই পৃথক পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কিছু স্বাধীন সমীক্ষক দফতরগুলির কাজকর্ম নিয়ে নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন (অফিসার মহল মনে করিয়ে দিচ্ছে, বিধানসভা ভোটের আগে ভোটকুশলী একটি পেশাদার সংস্থার সহযোগিতা নিয়েছিল তৃণমূল)। সেই সমীক্ষা দফতরগুলির কার্যকারিতা বাড়াতে সহযোগিতা করছে বলেও মনে করেন তাঁরা। তবে সরকারের কাজ হয় নির্দিষ্ট নিয়মনীতির বৃত্তে। নতুন নিয়োগ-পরিকল্পনাটি সেই নিয়মনীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
দ্বিতীয়ত, অনেক প্রশাসনিক পর্যবেক্ষক মনে করেন, সরকারি অফিসারদের পাশাপাশি অন্য ক্ষেত্রের অভিজ্ঞ পেশাদারেরা থাকলে প্রশাসনিক ভাবনাচিন্তায় যুগোপযোগী পরিবর্তন আনা সম্ভব। সরকারি অফিসারেরা নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনও বিষয় বিশ্লেষণ করে থাকেন। সরকারি ক্ষেত্রের বাইরের অভিজ্ঞ পেশাদারেরা সক্রিয় ভাবে যুক্ত থাকলে সেই বিশ্লেষণের পরিধি এবং গভীরতা বাড়বে। ফলে সিদ্ধান্ত অনেক বেশি বাস্তবসম্মত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সমাজের বাস্তব চাহিদার সঙ্গে প্রশাসনিক ভাবনাচিন্তা ও পদক্ষেপের মধ্যে একটা সেতুবন্ধন সম্ভব।
প্রাক্তন আমলাদের কেউ কেউ মনে করিয়ে দিচ্ছেন, সরকারের কাজকর্মে গোপনতা রক্ষা করতে হয়। বাইরের কোনও পেশাদার সরকারি বৃত্তের সঙ্গে যুক্ত হলে সেই গোপনতা কতটা অক্ষত থাকবে, কেন্দ্রের ‘ল্যাটেরাল এন্ট্রি’ নীতির পিঠোপিঠি বিভিন্ন মহল থেকে সেই প্রশ্নও উঠেছিল। তবে এ রাজ্যের নিয়োগ-পরিকল্পনার প্রশ্নে প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেরই দাবি, সরকার সব দিক বিবেচনা করেই কোনও পদক্ষেপ করে থাকে। এ ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হবে না। রাজ্য সরকারের এই পরিকল্পনা নিয়ে অফিসার শিবিরে দু’টি ব্যাখ্যা ঘোরাফেরা করছে। প্রথমত, সরকারের বিভিন্ন কাজ, বিশেষত দফতরগুলি কতটা সক্রিয় ভাবে কাজ করছে, তা যাচাই এবং খেয়াল রাখার জন্য অনেক দিন আগে থেকেই পৃথক পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কিছু স্বাধীন সমীক্ষক দফতরগুলির কাজকর্ম নিয়ে নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন (অফিসার মহল মনে করিয়ে দিচ্ছে, বিধানসভা ভোটের আগে ভোটকুশলী একটি পেশাদার সংস্থার সহযোগিতা নিয়েছিল তৃণমূল)। সেই সমীক্ষা দফতরগুলির কার্যকারিতা বাড়াতে সহযোগিতা করছে বলেও মনে করেন তাঁরা। তবে সরকারের কাজ হয় নির্দিষ্ট নিয়মনীতির বৃত্তে। নতুন নিয়োগ-পরিকল্পনাটি সেই নিয়মনীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
দ্বিতীয়ত, অনেক প্রশাসনিক পর্যবেক্ষক মনে করেন, সরকারি অফিসারদের পাশাপাশি অন্য ক্ষেত্রের অভিজ্ঞ পেশাদারেরা থাকলে প্রশাসনিক ভাবনাচিন্তায় যুগোপযোগী পরিবর্তন আনা সম্ভব। সরকারি অফিসারেরা নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনও বিষয় বিশ্লেষণ করে থাকেন। সরকারি ক্ষেত্রের বাইরের অভিজ্ঞ পেশাদারেরা সক্রিয় ভাবে যুক্ত থাকলে সেই বিশ্লেষণের পরিধি এবং গভীরতা বাড়বে। ফলে সিদ্ধান্ত অনেক বেশি বাস্তবসম্মত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে সমাজের বাস্তব চাহিদার সঙ্গে প্রশাসনিক ভাবনাচিন্তা ও পদক্ষেপের মধ্যে একটা সেতুবন্ধন সম্ভব।
প্রাক্তন আমলাদের কেউ কেউ মনে করিয়ে দিচ্ছেন, সরকারের কাজকর্মে গোপনতা রক্ষা করতে হয়। বাইরের কোনও পেশাদার সরকারি বৃত্তের সঙ্গে যুক্ত হলে সেই গোপনতা কতটা অক্ষত থাকবে, কেন্দ্রের ‘ল্যাটেরাল এন্ট্রি’ নীতির পিঠোপিঠি বিভিন্ন মহল থেকে সেই প্রশ্নও উঠেছিল। তবে এ রাজ্যের নিয়োগ-পরিকল্পনার প্রশ্নে প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেরই দাবি, সরকার সব দিক বিবেচনা করেই কোনও পদক্ষেপ করে থাকে। এ ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy