ইকবাল আহমেদ
নারদ-কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র ইকবাল আহমেদকে ডেকে পাঠাল সিবিআই। এই দুর্নীতি মামলায় সরাসরি অভিযুক্ত ১৩ জন প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে আগেই এফআইআর করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। তদন্ত শুরুর আড়াই মাস পরে সিবিআই এই প্রথম তাঁদের মধ্যে কাউকে তলব করল।
বৃহস্পতিবার চিঠি দেওয়া হয়েছে ইকবালকে। আগামিকাল, শনিবার নিজাম প্যালেসের সিবিআই দফতরে তাঁকে আসতে বলা হয়েছে। ইকবাল এ দিন বলেন, ‘‘সিবিআই অফিসারেরা বাড়িতে এসেছিলেন। আমি ছিলাম না বলে ফোন করে অফিসে আসেন। সেখানে চিঠি দেন। ডেকেছে যখন, নিশ্চয়ই যাব। যা সত্যি আছে, বলে দেব।’’
দার্জিলিঙে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ডেপুটি মেয়রকে চিঠি দেওয়ার খবর দ্রুত পৌঁছে যায়। তবে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সিবিআই সূত্রের খবর, নারদ নিউজের কর্ণধার সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েল ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে কলকাতায় এসে ট্যাক্সিচালক ইসমাইলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ইসমাইল তাঁকে নিয়ে যান সৈয়দ তারজার মির্জা ওরফে টাইগারের কাছে। ইকবালের সঙ্গে ম্যাথুর যোগাযোগ করিয়ে দেন টাইগার। ঠিক যে পথে একের পর এক লোক ধরে শাসক দলের নেতা-নেত্রীদের কাছে পৌঁছেছিলেন নারদ কর্তা, সেই ক্রম মেনেই জেরা-পর্ব এগোতে চায় সিবিআই।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, কারা টাকা নিতে পারেন, ইকবালই সেই খবর ম্যাথুকে জুগিয়েছিলেন। বাছাই কয়েক জন ভোটপ্রার্থী, নেতা ও মন্ত্রীর কাছে নারদ কর্তাকে নিয়ে যান
তিনি নিজেই।
তদন্তকারীদের অভিযোগ, ইকবাল নিজেও ম্যাথুর থেকে টাকা নেন। ওই টাকা কোন খাতে খরচ হয়েছে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডেপুটি মেয়রের সঙ্গীরাও নগদ টাকার লেনদেন করেছেন বলে জেনেছেন অফিসারেরা। নারদ স্টিং অপারেশনে মোট ৮০ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। এক শীর্ষ গোয়েন্দা কর্তা জানান, অভিযুক্ত পুলিশকর্তা ও নেতাদের ম্যাথুর সামনে বসিয়ে জেরা করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy