Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

প্রশ্ন ফাঁস কি উচ্চ মাধ্যমিকে, শুরু তদন্ত

মঙ্গলবার পরীক্ষা চলার সময়েই হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের বক্তব্য, পরীক্ষা শুরু হওয়ার এক-দেড় ঘণ্টা পরে প্রশ্নপত্র বাইরে বেরোলে তার আর কোনও গুরুত্ব থাকে না। যদিও বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাস।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৮ ০৬:২২
Share: Save:

মাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে হইচইয়ের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরুতেই কিছুটা তাল কাটল।

মঙ্গলবার পরীক্ষা চলার সময়েই হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের বক্তব্য, পরীক্ষা শুরু হওয়ার এক-দেড় ঘণ্টা পরে প্রশ্নপত্র বাইরে বেরোলে তার আর কোনও গুরুত্ব থাকে না। যদিও বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাস। তাঁর অভিযোগ, পরীক্ষা চলাকালীন এ ভাবে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে দেওয়ার পিছনে চক্রান্ত রয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি কিছু জানি না। যাঁদের দেখার কথা, তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন।’’

এ দিন ছিল উচ্চ মাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষা। অভিযোগ, পরীক্ষা শেষের বেশ কিছুটা আগেই মালদহের কালিয়াচক ও সুজাপুর থেকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র বাইরে চলে আসে। স্পর্শকাতর পরীক্ষা কেন্দ্রে বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে এবং ভিডিয়োগ্রাফি করেও কি তা হলে নিরাপত্তা অটুট রাখা গেল না? উঠছে প্রশ্ন।

মহুয়াদেবী জানান, গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটি থাকলে শুধরে নিতে হবে সেটাও। যদি এই ধরনের কিছু হয়ে থাকে, তা হলে সেটা কোনও চক্রের চক্রান্ত হতে পারে। কেউ ইচ্ছে করে পরীক্ষা পদ্ধতিতে ব্যাঘাত ঘটাতে এটা করে থাকতে পারে বলে তাঁর অনুমান। সংসদ-প্রধানের কথায়, ‘‘কোনও পরীক্ষার্থী শৌচালয়ে গিয়ে দুষ্টুমি করে থাকতে পারে। তাই আরও কড়া নজরদারির ব্যবস্থা হবে। শিক্ষকেরা এই কাজ করতে পারেন না। কারণ, আমরা মনে করি, শিক্ষকদের সেই জ্ঞান আছে।’’

শিক্ষা শিবিরের প্রশ্ন, পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনও পরীক্ষার্থী মোবাইল ব্যবহার করছে কি না, তা দেখার জন্য পৃথক নজরদার থাকা সত্ত্বেও এটা ঘটল কী করে? সংসদ-সভানেত্রীর বক্তব্য, সব পরীক্ষা সমস্ত নিয়ম মেনে হয় না। ‘‘এই ঘটনায় কোনও ড্যামেজ (ক্ষতি) হয়নি। কারণ, দেড় ঘণ্টা পরে প্রশ্নপত্র বেরোলে সেটার গুরুত্ব থাকে না। তবু রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। কেননা মালদহে অনেক স্পর্শকাতর কেন্দ্র রয়েছে,’’ বলেন মহুয়াদেবী।

মালদহেই মাধ্যমিকে অঙ্কের প্রশ্ন পরীক্ষা শুরুর ঘণ্টাখানেক পরে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছিল বলে অভিযোগ। উচ্চ মাধ্যমিকেও একই অভিযোগ ওঠায় বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে। জেলা স্কুল পরিদর্শক তথা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আহ্বায়ক তাপস বিশ্বাস বলেন, “সংবাদমাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি জানা যায়। তবে সেই প্রশ্ন মালদহ থেকেই ফাঁস হয়েছে কি না, তা বলা সম্ভব নয়।” মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, “অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা হবে।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE