Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Vegetables

ঠিক দামে আনাজ দিতে বাড়তি স্টল

ফুল কেনাবেচা সব থেকে বেশি হয় পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট ও দেউলিয়া বাজারে। একে করোনা, তায় আশ্বিন মল মাস হওয়ায় অধিকাংশ ফুলের দাম পড়ে গিয়েছিল।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২০ ০৪:২১
Share: Save:

কোনও ভাবেই নেভানো যাচ্ছে না বাজারের ‘আগুন’! উৎসবের মরসুমে আনাজের দাম কতটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, সেই বিষয়ে নিশ্চিত নয় রাজ্য প্রশাসন। এই অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারি পরিকাঠামোয় ‘সুফল বাংলা’র মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে আনাজ বিক্রির ব্যবস্থা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সুফল বাংলার নতুন বিক্রয় কেন্দ্র তৈরি করতে সব জেলা প্রশাসনকে ২০টি করে জায়গা চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য।

বেশ কয়েক মাস ধরেই আনাজের দাম চড়া। পুজো আসতেই ফলফুলের দামও চড়তে শুরু করেছে। পূর্ব বর্ধমানের কালনায় সোমবার পটল ৪০, উচ্ছে ৬৫, শিম ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বেদানার কেজি ১৫০ টাকা, আঙুর ৪০০। ‘‘বৃষ্টিতে আনাজ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আমদানি কম। তাই দাম কমছে না,’’ বলেন আনাজ বিক্রেতা ধ্রুব দে। কৃষি দফতরের ব্যাখ্যা, অন্যান্য বার একটু-আধটু ঠান্ডা পড়ে অক্টোবরে। সেটা আনাজের পক্ষে জরুরি। কিন্তু এ বার গরম চলছে। তার পাশাপাশি বৃষ্টিতে পরিস্থিতি কিছুটা প্রতিকূল।

পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর বাজারের নন্দন মার্কেটে গাঁদাফুলের ২০টি মালার থোকার পাইকারি দর ৩০০ টাকা। বাসন্তী ও হলুদ গাঁদার থোকার দর একটু কম, ২০০-২৫০। ১০০ জবাফুলের দাম ২০০ টাকা। ২৫টি পদ্মের গোছা ২৫০ টাকা। পাইকারি বিক্রেতারা জানান, পুজোয় পদ্ম ও গাঁদার দাম আরও বাড়বে। অতিবৃষ্টিতে গাঁদার চাষ কম হয়েছে। তার উপরে করোনায় সমস্যা শ্রমিকের। বেনাচিতি বাজারে আপেল ৮০, বেদানা ১০০, নাশপাতি ১০০-১২০, আঙুর ৮০০ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে।

আলু ও পেঁয়াজের দর মাসখানেক ধরেই চড়ে রয়েছে বাঁকুড়ার বাজারে। ফুলকপি, বাঁধাকপি অগ্নিমূল্য। টম্যাটোর ৬০ টাকা কেজি। প্রতিটি পদ্মের দর এখনই তিন থেকে বেড়ে ছ'টাকা। গাঁদার মালা, রজনীগন্ধার দরও বেড়েছে। পুরুলিয়া বাজারে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়।ফুল কেনাবেচা সব থেকে বেশি হয় পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট ও দেউলিয়া বাজারে। একে করোনা, তায় আশ্বিন মল মাস হওয়ায় অধিকাংশ ফুলের দাম পড়ে গিয়েছিল। দিন তিনেক হল বাজার চাঙ্গা হচ্ছে। তবে পদ্ম, বেল ও জুঁইয়ের দাম তুলনামূলক ভাবে বেশিই রয়েছে।

প্রশাসনের একাংশ জানাচ্ছে, লকডাউনে ফুলের বাজার বেশ মার খেয়েছে। তখন ব্যবসায়ীরা বিপুল লোকসান করে ফুল ফেলে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। তাঁদের আয় তলানিতে ঠেকেছিল। আনলক পর্বের শুরু থেকে ফুলের দাম বাড়তে শুরু করে। তাই দুর্গোৎসবে দাম আরও বাড়ছে।সামগ্রিক পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রীয় নীতিকেই দায়ী করছেন কৃষিকর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, আগে দাম নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারের একটা ভূমিকা ছিল। দাম লাগামছাড়া হলে প্রশাসন মধ্যস্থতা করে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনত। চলতি পরিস্থিতিতে এটা কার্যত মুশকিল।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy