ফাইল চিত্র।
অতিমারি করোনার দৌরাত্ম্যের মধ্যে হানা দিয়ে মানুষের দুর্দশা বহু গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। দল গড়ে এই দুই উৎপাতে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের পড়ুয়া, গবেষক, শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
রাজ্যের কিছু কলেজের ভূতত্ত্বের পড়ুয়া, গবেষক, শিক্ষকেরা তৈরি করেছেন ‘বেঙ্গল জিয়োলজি কমিউনিটি অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ নামে একটি সংগঠন। মূলত করোনা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছে ওই দলের পড়ুয়ারা। সংগঠনের প্রধান, আশুতোষ কলেজের শিক্ষিকা রীতি বসু এবং যোগমায়া দেবী কলেজের শিক্ষক সুজয় দাশগুপ্ত জানান, প্রাথমিক ভাবে এই দুই কলেজের ভূতত্ত্বের পড়ুয়াদের নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও এখন এই দল ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন জায়গায়। তাদের বিশেষ ভাবে সাহায্য করছেন খড়্গপুর আইআইটি-র শিক্ষক অনিন্দ্য সরকার এবং দুর্গাপুর গভর্নমেন্ট কলেজের শিক্ষক প্রবীর দাশগুপ্ত। অক্সিজেন, রক্ত, ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি করোনা রোগীদের জন্য রাঁধা খাবারও সরবরাহ করছেন পড়ুয়ারা। ইয়াস-দুর্গতদেরও সাহায্য করা হচ্ছে। সংগৃহীত অর্থ তাঁরা পৌঁছে দিচ্ছেন সুন্দরবন, বকখালির মতো বেশ কিছু অঞ্চলের বেসরকারি কমিউনিটি কিচেনে।
ইয়াস-বিধ্বস্তদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের পড়ুয়া-গবেষকেরাও। ওই দলের সদস্য-পড়ুয়া অভিষিক্তা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমাদের দুই সহপাঠী অরিন্দম মাইতি ও পঙ্কজ ভাণ্ডারীর বাড়ি সাগরদ্বীপ অঞ্চলে। ওদের বাড়ির চার পাশে সব কিছুই এখন জলের তলায়! সেই জন্যই এই উদ্যোগ।’’ পড়ুয়াদের পাশে রয়েছেন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও।
নিজেদের ক্ষতিগ্রস্ত পড়ুয়াদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগও। প্রণব বর্মণ নামে এক গবেষক বলেন, "গোসাবা, কাকদ্বীপ ইত্যাদি অঞ্চলের ১৫টি গ্রাম ডুবে গিয়েছে। আমাদের অনেক পড়ুয়ার বাড়ি সেখানে। তাদের পরিবার এবং গ্রামকে সাহায্য করার জন্যই এই প্রয়াস। গাছও লাগানো হচ্ছে।
স্কটিশ চার্চ কলেজের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক বিপুলন গাইন জানান, তাঁদের সংগঠন ‘অল্টার লাইফ’-ও সেবাকাজ চালাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy