বাঁ দিকে, বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। ডান দিকে, সিপিএম প্রার্থী পার্থ মুখোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
বীরভূমের বগটুই থেকে আসানসোলের সড়ক পথে দূরত্ব প্রায় ১২৩ কিলোমিটার। কিন্তু সে সব দূরত্বকে কার্যত দূরে সরিয়ে গোটা রাজ্যের মতো আসানসোলেও চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বীরভূমের ওই গ্রাম। এমনকি, বুধবার আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন উপলক্ষে বিজেপি ও সিপিএমের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়েও, চর্চায় ছিল ওই গ্রাম থেকে দগ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনাটি।
বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল, জেলাশাসকের (পশ্চিম বর্ধমান) কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। ছিলেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ প্রমুখ। এ দিন গত আসানসোল পুরভোট নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হন শুভেন্দু। তাঁর অভিযোগ, “পুরভোটে আসানসোলে তৃণমূল গুণ্ডামি চালিয়েছে। মাত্র ২০ শতাংশ আসল ভোটার ভোট দিতে পেরেছিলেন। এর শোধ উপনির্বাচনে মানুষ তুলবেন।” পাশাপাশি, তিনি বলেন, “দেশবাসী বুঝে গিয়েছেন, দেশের শাসন ক্ষমতা যদি শক্তিশালী নেতার হাতে না থাকে, তা হলে ইউক্রেনে যুদ্ধের সময় যেমন সেখানকার মানুষজন পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন, আফগানিস্তানের মানুষকে যেমন দিল্লিতে এনে শরণার্থী করা হচ্ছে, তেমনই অবস্থা হবে আমাদের। তাই আমি আশাবাদী লোকসভায় মানুষ নরেন্দ্র মোদীকে সমর্থন জানাবেন।” পাশাপাশি, অর্জুন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বলতে গিয়ে বগটুইয়ের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। বলেন, “এটা প্রমাণিত, এ রাজ্যে আইনের শাসন নেই।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের ভিড়ে দু’ঘণ্টা ধরে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জিটি রোডের বরাকরমুখী লেনটি। পুলিশ আসানসোলমুখী লেন দিয়ে দু’দিকের গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করে। অভিযোগ ওঠে কোভিড-বিধি না মানারও। অগ্নিমিত্রার অবশ্য প্রতিক্রিয়া, “প্রত্যেকেই স্বেচ্ছায় মিছিলে এসেছেন। মানুষের এই ভালবাসায় আমরা আপ্লুত। পাশাপাশি, মানুষের অসুবিধা হওয়ার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।” এ দিকে, দলের আসানসোল জেলা সহ-সভাপতি সুব্রত মিশ্র বলেন, “প্রত্যেককেই দলের তরফে মাস্ক দেওয়া হয়েছে। অনেকেই পরেছেন। কেউ-কেউ তা খুলে ফেলেছেন।”
মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সিপিএম প্রার্থী পার্থ মুখোপাধ্যায়ও। তিনি দলের নেতা, কর্মীদের নিয়ে মিছিল করে, বেলা ১১টা নাগাদ জেলাশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা করেন। রামপুরহাটের ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সিপিএমের মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা প্রত্যেকেই কালো ব্যাজ পরে মনোনয়ন কেন্দ্রে যান। হয় নীরবতা পালনও। মিছিলে ছিলেন আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী, দলের জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়। গৌরাঙ্গেরও অভিযোগ, “রাজ্যে এই মুহূর্তে অরাজক পরিস্থিতি চলছে। বারুদ আর জীবন্ত মানুষকে আগুনে পোড়ানোর গন্ধে ভারী হয়েছে বাতাস। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।”
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের জেলা সভাপতি বিধান উপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, “রামপুরহাটের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ বিষয়ে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্রুত, দৃঢ় পদক্ষেপ করছেন। বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy