দার্জিলিঙের সিংমারি, চকবাজার এবং সোনাদায় গুলিতে সাত জনের জনের মৃত্যু ও হিংসার ঘটনার তদন্ত করবে সিআইডি-র বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। চলতি সপ্তাহেই ওই বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেন ভবানীভবনের গোয়েন্দা কর্তারা। তদন্তে গতি আনতেই এই সিদ্ধান্ত। এর মধ্যে বাধা কাটিয়ে ঘটনাস্থলও ঘুরে এসেছেন গোয়েন্দারা। নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি কথা হয়েছে সে দিন ঘটনাস্থলে থাকা বেশ কয়েক জন পুলিশের সঙ্গেও। যদিও এখন পর্যন্ত সব পুলিশই গুলিচালনার কথা অস্বীকার করেছেন।
সিআইডি সূত্র্রের খবর, আট জনের ওই বিশেষ দলে কলকাতার সদর দফতরের হোমিসাইড, স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি), হাইওয়ে ক্রাইম বিভাগের গোয়েন্দাদের পাশাপাশি রাখা হয়েছে জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিঙের সিআইডি-র শাখার গোয়েন্দাদের। পালা করে ওই সিটের সদস্যরা দার্জিলিঙে থেকে ওই ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাবেন বলে সিআইডি জানিয়েছে।
মাসখানেক আগে ১৭ জুন অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল সিংমারি-সহ দার্জিলিঙের বহু এলাকা। গুলিতে মারা যান তিন জন। তার দশ দিনের মাথায় ২৭ জুন সিআইডি-কে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে ৮ জুলাই সোনাদা এবং চকবাজারে গুলি এবং হাঙ্গামার ঘটনার তদন্তভারও যায় সিআইডির হাতে। কিন্তু সিআইডি-র অভিযোগ, মোর্চার অসহযোগিতা এবং পাহাড়ে বন্ধের ফলে তদন্ত করতে গিয়ে প্রাথমিক ভাবে বাধার সামনে পড়তে হয়েছিল তাদের। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকে তদন্তে কিছুটা গতি পেয়েছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের। প্রথম ঘটনার প্রায় এক মাস পরে গত শনিবার সিংমারি, লেবং রোড-সহ বিভিন্ন ঘটনাস্থল ঘুরে পুলিশ ফাঁড়ি, পুড়ে যাওয়া গাড়ি ও একাধিক বাড়িতে থাকা ক্ষত চিহ্নের নমুনা সংগ্রহ করেছেন কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। ওই নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
ভবানীভবন সূত্রের খবর, ওই দিন ঘটনাস্থলে রাজ্য পুলিশের কোন কোন কর্মী ছিলেন, তার তালিকাও এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে। তাতে প্রায় একশো জনের নাম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিরিশ জনের সঙ্গে চলতি সপ্তাহেই কথা হয়েছে তদন্তকারীদের। তবে গুলি চালানোর কথা কেউই স্বীকার করেননি। সে দিন কত কার্তুজ নথিভুক্ত হয়েছিল এবং তার কতটা ফেরত গিয়েছে, তার হিসেবও জানার চেষ্টা চলছে। তদন্তকারীরা এখনও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাননি। আধাসেনাদের কে কে কর্তব্যরত ছিলেন, পাননি সেই তালিকাও। তদন্তকারী এক অফিসার জানান, ঘটনার দিন এলাকায় পুলিশকর্তাদের যাঁরা ছিলেন, তাঁদের সঙ্গেও কথা বলার সম্ভাবনা রয়েছে। তাতে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে বলে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy