মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
বিরোধী দলশাসিত রাজ্যগুলিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে সোমবার রাজ্যসভার কক্ষ ত্যাগ করেছে ‘ইন্ডিয়া’ভুক্ত দলগুলির সাংসদেরা। ঠিক তার পরেই জলপাইগুড়ির সভা থেকে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, গ্রাম সড়ক যোজনায় রাজ্যের পাওনার কথা বলে মমতা বলেন, ‘‘ওরা সব আটকে রেখেছে। আমি বাংলার হক আদায়ে দিল্লি যাচ্ছি। ১২, ১৯, ২০ ডিসেম্বর দিল্লিতে থাকব। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সময় চেয়েছি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এই সরকার (বিজেপি) যদি থাকে তা হলে সব ছিনিয়ে নিয়ে চলে যাবে।’’ তবে কবে প্রধানমন্ত্রী সময় দিয়েছেন সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি মমতা। প্রসঙ্গত, ১৯ ডিসেম্বর দিল্লিতে বিজেপি-বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক হওয়ার কথা।
সোমবার জলপাইগুড়িতে সরকারি কর্মসূচি ছিল মমতার। বানারহাটের সেই কর্মসূচি থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যখন এক দেশ, এক কর হল, তখন ভেবেছিলাম ভাল হবে। এখন সব রাজ্য থেকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে, আর রাজ্যকে কিছু দিচ্ছে না।’’ কেন্দ্রের শাসকদলের নেতামন্ত্রীরা বাংলায় মিথ্যা বলছেন বলেও দাবি করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘এসে বলছে, সব ওরা নাকি করে দিয়েছে। আরে, ঝুট বলে কাউয়া কাটে! একটু অপেক্ষা করো, কাক তোমাদেরও ঠোকরাবে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘ভোটের আগে অনেক দেব দেব বলবে, ভোট মিটে গেলে কিচ্ছু দেবে না।’’
বিরোধীশাসিত রাজ্যে অর্থনৈতিক অবরোধ তৈরি করতে চাইছে শাসক বিজেপি। এই অভিযোগ তুলে সোমবার রাজ্যসভায় কক্ষত্যাগ (ওয়াকআউট) করল কংগ্রেস-সহ বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র শরিক দলগুলি। সংসদের ভিতরে এ নিয়ে বিক্ষোভও দেখায় ‘ইন্ডিয়া’র শরিকেরা। নানা টালবাহানার পরে গত রবিবার জানা যায় যে, ১৯ ডিসেম্বর দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া’র চতুর্থ বৈঠক হতে চলেছে। ওই বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে আসন রফার বিষয়টি অগ্রাধিকার পেতে চলেছে বলে বিরোধী জোট সূত্রে খবর। এই আবহে সংসদে যেমন সব দলের সঙ্গে মিলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হল তৃণমূল, তেমন বাংলা থেকেও মোদীকে নিশানা করলেন মমতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy