Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

মাধ্যমিকে দ্বিতীয়, সেই জেদের জোরেই অর্চিষ্মান উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম

চুঁচুড়ার ধরমপুরের নরেন চট্টোপাধ্যায় লেনের বাড়িতে বসে অর্চিষ্মানের বাবা, কলেজশিক্ষক অর্ঘ্যবাবু বললেন, ‘‘সাইকেলে চেপে পরীক্ষার রেজাল্ট নিয়ে আসছিল আমার সঙ্গে। দ্বিতীয় হয়েছিল। কিছুতেই মেনে নিতে পারছিল না।’’

অর্চিষ্মান পাণিগ্রাহী। মেয়েদের মধ্যে প্রথম মঞ্জিষ্ঠা সাহা। নিজস্ব চিত্র ।

অর্চিষ্মান পাণিগ্রাহী। মেয়েদের মধ্যে প্রথম মঞ্জিষ্ঠা সাহা। নিজস্ব চিত্র ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৭ ০৩:৪১
Share: Save:

মাধ্যমিকে দ্বিতীয় হওয়ায় জেদ চেপে গিয়েছিল হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের অর্চিষ্মান পাণিগ্রাহীর। সেই জেদেই এ বার উচ্চ মাধ্যমিকে সবার উপরে স্থান পেয়েছেন তিনি।

চুঁচুড়ার ধরমপুরের নরেন চট্টোপাধ্যায় লেনের বাড়িতে বসে অর্চিষ্মানের বাবা, কলেজশিক্ষক অর্ঘ্যবাবু বললেন, ‘‘সাইকেলে চেপে পরীক্ষার রেজাল্ট নিয়ে আসছিল আমার সঙ্গে। দ্বিতীয় হয়েছিল। কিছুতেই মেনে নিতে পারছিল না।’’

অর্চিষ্মানের মা, স্কুলশিক্ষিকা কাজলীদেবীর কথায়, ‘‘পরীক্ষা নিয়ে ছেলের কোনও ভয় নেই।’’ আর অর্চিষ্মান বললেন, ‘‘ভয়টাকে চেপে বসতে দিলেই বিপদ।’’ ৯৯.৪২ শতাংশ নম্বর পাওয়া অর্চিষ্মান গিটারও বাজান। বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স-এ পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়বেন তিনি।

মায়াঙ্ক চট্টোপাধ্যায়, মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম বিদ্যালয় (উচ্চ মাধ্যমিক), হুগলি, শুভম সিংহ, আরামবাগ হাইস্কুল, হুগলি, উপমন্যু চক্রবর্তী, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, সুরজিৎ লোহার, বাঁকুড়া জেলা স্কুল, বাঁকুড়া

খেলাধুলো, রাত জেগে সিনেমা দেখা, সবই করেছেন উচ্চমাধ্যমিকে দ্বিতীয় উপমন্যু চক্রবর্তী। বললেন, ‘‘মাধ্যমিকে কিছু হতে পারিনি। সেটাই বাড়তি শক্তি জুগিয়েছে।’’ ডাক্তারি পড়তে চান নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যালয়ের ছাত্রটি। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় বাবাকে হারিয়েছিলেন। মা শম্পাদেবী জানালেন, স্কুলের শিক্ষকদের যে স্নেহ উপমন্যু পেয়েছে তার তুলনা নেই। বার বার বললেন বিশ্বনাথ মহারাজ (স্বামী অলোকেশানন্দ)-র কথা। এই ফল বাবাকে উৎসর্গ করলেন উপমন্যু।

আরও পড়ুন: করে দেখানোর স্বপ্ন ছাড়েননি শত যন্ত্রণাতেও

যুগ্ম দ্বিতীয় হুগলির রিষড়ার মাহেশ শ্রীরামকৃষ্ণ আশ্রম উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র মায়াঙ্ক চট্টোপাধ্যায়। এখন আইআইটিতে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বেন।

আরামবাগ বয়েজ হাইস্কুলের ছাত্র শুভম সিংহ উচ্চ মাধ্যমিকে তৃতীয় হয়েছে। বাড়ি আরামবাগ শহরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর রবীন্দ্রপল্লিতে। ইচ্ছে, চিকিৎসক হবেন।

মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছিলেন। উচ্চ মাধ্যমিকে তৃতীয় হলেন বাঁকুড়া জেলা স্কুলের ছাত্র সুরজিৎ লোহার। তাঁর কথায়, “লক্ষ্য ছিল, সেরা দশের তালিকায় যেন নাম থাকে।’’ ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন বাঁকুড়ার ছেলেটি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE