শান্তি সমন্বয় কমিটি, বাউড়িয়া (বাঁদিকে)। ডানদিকে, ব্লু স্টার, আন্দুল। ছবি: সুব্রত জানা।
চন্দননগরের ছোঁয়া লেগেছে বাসুদেবপুরেও। হাওড়ার উলুবেড়িয়া মহকুমার এই গ্রাম বেশ কয়েকবছর ধরেই জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য বিখ্যাত হয়ে উঠেছে।
মুম্বই রোড থেকে বাউড়িয়া স্টেশন পর্যন্ত পাঁচলা-বাউড়িয়া রাস্তার দু’দিকে চোখে পড়বে একের পর এক মণ্ডপ। এখানে যেমন রয়েছে পারিবারিক পুজো, তেমনই রয়েছে সর্বজনীন। থিমের মণ্ডপ, প্রতিমা, আলো নিয়ে পুজোগুলির মধ্যে রয়েছে প্রতিযোগিতাও। এলাকায় এবার মোট জগদ্ধাত্রী পুজোর সংখ্যা হল ২১টি। তার মধ্যে ১৮টি সর্বজনীন এবং ৩টি পারিবারিক পুজো। দর্শনার্থীদের কাছে অবশ্য প্রতিটি পুজোরই আলাদা আকর্ষণ।
পারিবারিক পুজোগুলির মধ্যে সবচেয়ে পুরনো নাথ বাড়ির পুজো। এ বার ৭৪ বছরে পড়েছে এই পুজো। এ ছাড়া রয়েছে পাড়ুইবাড়ি এবং বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির পুজো। সেগুসির বয়সও কুড়ি পেরিয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে সবচেয়ে পুরনো সর্বজনীন বাসুদেবপুর প্রামাণিকপাড়ার পুজো। স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, এই পুজো শুরু হয়েছিল ১৮৩০ সালে। প্রায় দু’শো বছর ছুঁতে চলা এই পুজোর পরিচিতি ‘বাসুদেবপুর আদি পশ্চিমপাড়া জগদ্ধাত্রী পুজো’ নামে। উদ্যোক্তাদের দাবি, এখান থেকেই শুরু হয়েছিল বাসুদেবপুর গ্রামে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন। পরে বেড়েছে পুজোর সংখ্যা। আর বহু পুরনো পুজোগুলির সঙ্গে বয়সে নবীন পুজোগুলির জাঁকজমকেক লড়াই নিয়েই জগদ্ধাত্রী পুজোর উৎসবে মাতেন এখানকার মানুষ।
দাসপাড়া সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজো এ বার ৪১ বছরে পা দিয়েছে। থিম হল ‘সবুজায়ন’। পুজো মণ্ডপ সাজানো হয়েছে গাছ-গাছালি, লতাপাতা দিয়ে। পারালপাড়া আদ্যাশক্তি সর্বজনীন কেদারনাথের মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করেছে। চালচিত্রের পটভূমিকায় সাবেক প্রতিমা। বৌদ্ধমন্দিরের আদলে মণ্ডপ হয়েছে বাসুদেবপুর সর্বজনীনের। পুজোর এবার ৪৬ বছর। বাসুদেবপুর মোনালিসা সংস্কৃতি সংসদ সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজোর মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। দর্শনীয় প্রতিমা। বাসুদেবপুর পূর্বপাড়া সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী পুজোর থিম মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’। বাসুদেবপুর ছাড়াও পাশাপাশি ঘোষালচক, রঘুদেবপুর, সাহাপুর, সন্তোষপুর, বেলকুলাই, পাঁচলা, খয়জাপুর প্রভৃতি গ্রামেও জগদ্ধাত্রী পুজোর সংখ্যাটা খুব কম নয়। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০টি জগদ্ধাত্রী পুজো হচ্ছে এই সব গ্রামে। তবে বাসুদেবপুরের জাঁকই আলাদা বলে দাবি দর্শনার্থীদের। পুজো ছাড়াও বিভিন্ন মণ্ডপে আয়োজিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বসে মেলা। উৎসবে ভেসে যান দর্শনার্থীরা। উদ্যোক্তাদের মুখের হাসি চওড়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy