ভাড়া বৃদ্ধি এবং বেআইনি গাড়ি বন্ধের দাবিতে আগামী বুধবার থেকে তিনদিনের ধর্মঘটে সামিল হচ্ছে হুগলি জেলা বাস মালিকদের সংগঠন। সোমবার চুঁচুড়ায় সংগঠন দফতরের এক বৈঠকে জেলার বিভিন্ন রুটের বাস মালিকরা এই সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সরকারের টনক নাড়ানোর জন্য তাঁদের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে সবথেকে বেশি ভুগবেন সাধারণ মানুষ।
ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন বাস মালিকরা। তাঁদের ক্ষোভ, গত দু’বছরে ডিজেলের দাম বেড়েছে হুহু করে। কিন্তু বাসের ভাড়া বাড়েনি। সরকার এ ব্যাপারে সদর্থক পদক্ষেপ না নেওয়ায় তাঁদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছে। শ্রীরামপুর-জাঙ্গিপাড়া ৩১ নম্বর রুটের এক বাস মালিক বলেন, ‘‘আগে কখনও এই পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। প্রতিদিন লোকসান হচ্ছে। কাহাতক ঘরের টাকা ব্যবসায় লাগাব।”
হুগলি জেলায় ৩৬টি রুটে বাস চলে। বাস মালিক সংগঠনের দাবি, লোকসানের জেরে বহু বাস বসে গিয়েছে। শুধু ডিজেলের দাম বাড়াই নয়। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিভিন্ন রুটের বেআইনি গাড়ি। কোথাও চলছে অটোরিক্সা, কোথাও ট্রেকার বা মোটরচালিত ভ্যানরিক্সার দাপটে বাসের যাত্রীসংখ্য অনেকটাই কমেছে বলে জানায় বাস মালিকেরা। হুগলি জেলা বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি দেবব্রত ভৌমিক বলেন, ‘‘সরকারের উদাসীনতায় বেসরকারি পরিবহন শিল্প লাটে উঠতে বসেছে। সব জিনিসেরই দাম বাড়ছে। আমাদেরও সংসার খরচ বেড়েছে। কিন্তু বাসের ভাড়া বাড়াতে সরকারের এত অনীহা কেন আমারা বুঝতে পারছি না। এতে আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।”
তাঁর কথায়, “পরিস্থিতি যে জায়গায় পৌঁছছে তাতে বাস বন্ধ করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। সরকার যদি আমাদের পারমিট কেড়ে নেয়। আমাদের হয়তো অন্য কিছু করে পেট চালাতে হবে। কিন্তু দিনের পর দিন লোকসান করে বাস রাস্তায় নামানো আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy