কলকাতার মতো হুগলিতেও আপাতত স্থগিত হয়ে গেল বাস ধর্মঘট। ভাড়া বাড়ানো এবং বেআইনি গাড়িতে যাত্রী পরিবহণ বন্ধের দাবিতে আজ, বুধবার থেকে তিন দিনের বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল জেলা বাস-মালিকদের সংগঠন। কিন্তু কলকাতার বাস-মালিকদের সংগঠনগুলি ধর্মঘট তুলে নেওয়ায় জেলাতেও ধর্মঘট থেকে পিছিয়ে এলেন বাস-মালিকেরা। মঙ্গলবারই তাঁরা ধর্মঘট স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করেন।
তবে, হুমকি দিয়েও কলকাতার বাস-মালিকদের সংগঠনগুলি যে ভাবে পিছিয়ে এসেছে, তাতে হুগলির সংগঠনটির কর্তাদের অনেকেই ক্ষুব্ধ। সরকার ভাড়া বাড়ানোর ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত না দিলে আগামী দিনে তাঁরা একক ভাবে আন্দোলন করবেন বলেও এই সংগঠনের কর্তারা জানিয়েছেন। জেলা বাস-মালিক সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি দেবব্রত ভৌমিক বলেন, “কোণঠাসা হয়েই আমরা বাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু কলকাতাতেই ধর্মঘট প্রত্যাহার হয়ে যাওয়ায় আমাদের আন্দোলনের হয়তো তেমন গুরুত্ব থাকল না। তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হল।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “আমরা মুখ্যমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে রয়েছি। এ বারেও ভাড়া না বাড়ানো হলে আমরা মাঠে মারা পড়ব।”
পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অনেকেরই বক্তব্য, দু’বছরে শুধু ডিজেলের দামই যে ভাবে বেড়েছে, তাতে বর্তমান ভাড়ায় লাভের বদলে লোকসানই হচ্ছে বাস-মালিকদের। কিন্তু স্রেফ রাজনৈতিক কারণে ভাড়া বাড়ানোর রাস্তায় হাঁটছে না রাজ্য সরকার। এর আগেও একাধিকবার ধর্মঘটের হুমকি দিয়েও পিছিয়ে এসেছেন বাস-মালিকেরা।
জেলা বাস-মালিকদের সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগেও জেলায় ৪৫টি রুটে বাস চলত। ইতিমধ্যে নানা কারণে কয়েকটি রুট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাসের ভাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে না বাড়ায় বছর খানেক ধরে বিভিন্ন রুট থেকে বহু বাসই তুলে নিয়েছেন মালিকরা। গোটা জেলায় ৩৬টি রুটে হাজার খানেক বাস চলে। তার উপর নানা জায়গায় বেআইনি গাড়ি যাত্রী পরিবহণ করায় বাস-চালক এবং কর্মীরা ক্ষুব্ধ। ভাড়া বাড়ানোর পাশাপাশি বেআইনি গাড়িতে যাত্রী পরিবহণ বন্ধের দাবিতেও সরব হয়েছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy