Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

বালি খাদানে গিয়ে দু’জনের মৃত্যু, খুনের অভিযোগে ধৃত ৪

বালি খাদানে কাজ করতে গিয়ে দু’জন যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার শ্যামপুরের বরাগাছি গ্রামে। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম চিন্ময় দলুই (২৮) এবং প্রসেনজিত্‌ রঞ্জ (২০)।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্যামপুর শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৪ ০১:১৬
Share: Save:

বালি খাদানে কাজ করতে গিয়ে দু’জন যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার শ্যামপুরের বরাগাছি গ্রামে। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম চিন্ময় দলুই (২৮) এবং প্রসেনজিত্‌ রঞ্জ (২০)।

পুলিশ সূত্রের খবর, বরাগাছি গ্রামের আরও চারজন যুবকের সঙ্গে এ দিন খুব ভোরে চিন্ময় এবং প্রসেনজিত্‌ ডায়মন্ড হারবারে হুগলি নদীর চর থেকে বালি তুলতে গিয়েছিলেন। কিন্তু বালি না তুলে সকাল ৮টা নাগাদ চারজন যুবক ওই দু’জনের দেহ নিয়ে গ্রামে ফিরে আসেন। গ্রামবাসীরা দু’টি দেহ-সহ চারজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। মৃত দুই যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে ডায়মন্ড হারবার থানায় চার জন যুবকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম পঙ্কজ মাজি, অমল মাজি, অনুপ মাজি এবং রঘুনাথ হাজরা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নৌকা ভাড়া করে প্রতিদিনই ওই ছয় জন যুবক ডায়মন্ড হারবারে বালি তুলতে যেত। ভোরে রওনা দিয়ে সকাল ৯টা নাগাদ বালি তুলে ফিরে আসত। সেই বালি তারা শ্যামপুরে বিক্রি করত। এদিনও ভোরে নৌকায় তারা রওনা দেয় ডায়মন্ড হারবারে। বরাগাছি গ্রামের আরও কিছু যুবকও একই কাজ করেন। ধৃত চারজন যে বালি না তুলে দু’টি দেহ নিয়ে গ্রামে ফিরে আসছে সে খবর তাঁরাই আগেভাগেই গ্রামের লোকজনকে ফোন করে জানিয়ে দেন। গ্রামবাসীরা খবর দেন শ্যামপুর থানার অধীন ৫৮ গেট ফাঁড়ির পুলিশকে। পুলিশ আগে থেকেই গ্রামে হাজির ছিল। নৌকা নিয়ে চারজন বরাগাছিতে আসার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তাদের আটক করে নৌকায় তল্লাশি শুরু করে। গলুইয়ের ভিতর থেকে দু’জনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহগুলি ময়না-তদন্তে পাঠিয়ে চারজনকে শ্যামপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। মৃতদের পরিবারের পক্ষ থেকে ডায়মন্ড হারবার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে চারজনকে গ্রেফতার করে ডায়মন্ড হারবার থানায় পাঠিয়ে দেয় শ্যামপুর থানা।

চিন্ময়ের জ্যাঠা স্বপন দলুই বলেন, “আমাদের মনে হয়, বালি খাদানে গিয়ে আমার ভাইপো ও প্রসেনজিতের সঙ্গে বাকি চারজনের ঝগড়া হয়। তারপরে পরিকল্পনা করে ওই চারজন আমার ভাইপো ও প্রসেনজিতকে খুন করেছে।” স্বপনবাবুর দাবি, “মৃতদের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন আছে। তাদের যে খুন করা হয়েছে সেটাই তার প্রমাণ।”

অন্য দিকে গ্রেফতার হওয়ার আগে শ্যামপুর থানায় বসে পঙ্কজ মাজি, অমল মাজিরা জানায়, নদীতে স্রোত বেশি থাকায় নৌকা নোঙর করা যাচ্ছিল না। সেই সময় নোঙর করার দড়ি জোর করে টেনে রাখতে গিয়ে চিন্ময় ও প্রসেনজিত্‌ নৌকা থেকে পড়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করে তারাই দু’জনের দেহ উদ্ধার করে। তার পর দেহগুলি বাড়িতে ফিরিয়ে আনছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE