অটোতেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এক যাত্রী। কিন্তু তাঁকে হাসপাতালে না নিয়ে রাস্তায় ফেলেই চলে গিয়েছিলেন সহযাত্রীরা। শেষে এক পথচারী ও অন্য অটোর এক যাত্রীর তৎপরতায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে অবশ্য তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বুধবার দুপুরে, বালি ব্রিজের ঘটনা।
পুলিশ জানায়, এ দিন দুপুরে বেলঘরিয়ার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ চক্রবর্তী বালি হল্ট যাওয়ার জন্য ডানলপ থেকে অটোয় উঠেছিলেন। তিনি বসেছিলেন চালকের পাশে। বালি ব্রিজের মাঝে অটো আসতেই ওই ব্যক্তি কাঁপতে শুরু করেন। অন্য যাত্রীদের চিৎকারে চালক অটো থামিয়ে দিলে পড়ে যান প্রসেনজিৎবাবু। এর পরে তাঁকে ফুটপাথে তুলে শোয়ানো হয়। কিন্তু ওই যাত্রীকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে অটোর অন্য যাত্রীরা সবাই চলে যান। চালক একাই দাঁড়িয়ে থাকেন প্রসেনজিৎবাবুকে নিয়ে। মুখে-চোখে জলের ঝাপটা দিতে থাকেন।
প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে ঘটনাটি দেখলেও কোনও পথচারী প্রসেনজিৎবাবুর সাহায্যে এগিয়ে আসেননি। সে সময়ে দক্ষিণেশ্বরের দিক থেকে আর একটি অটোতে আসছিলেন বিহু বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক যাত্রী। তিনি বিষয়টি দেখে ব্রিজের উপরে নেমে পড়েন। চন্দননগরের বাসিন্দা, পেশায় দন্তচিকিৎসক ওই তরুণীই প্রসেনজিৎবাবুর চিকিৎসা শুরু করেন। তখনই ব্রিজ দিয়ে হেঁটে বান্ধবীদের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন কলেজ ছাত্রী নিধিরাজ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বিষয়টি দেখে পুলিশকে ফোন করে জানান। ওই তরুণী বলেন, “এক জন মানুষ এ ভাবে রাস্তায় পড়ে আছেন। আর তাঁকে দেখে সবাই চলে যাচ্ছেন। এটা অমানবিক। তাই আমরাই এগিয়ে আসি।”
পুলিশ প্রসেনজিৎবাবুকে উদ্ধার করে বেলুড় শ্রমজীবী হাসপাতালে নিয়ে আসে। চিকিৎসকেরা জানান, অটো থেকে পড়ে যাওয়ায় ওই ব্যক্তির হাতে ও পায়ে চোট লেগেছে। তবে তাঁর মাথায় আঘাত লাগলে বড় কিছু ঘটতে পারত। চিকিৎসকদের অনুমান, কোনও ভাবে ওই ব্যক্তির রক্তচাপ বেড়ে মাথা ঘুরে গিয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ হওয়ার পরে প্রসেনজিৎবাবুকে ডানলপে তাঁর এক বন্ধুর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy