Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

পুজোতে মাইক বন্ধ সাতসকালেই

মৌমিতা এবং সোনারানি সম্পর্কে পিসি-ভাইঝি। দু’জনের বাড়ি একশো গজের মধ্যেই। পিসিই এখানে বিয়ে দিয়েছিলেন ভাইঝির।

—প্রতীকী ছবি

—প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
খানাকুল শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:০৩
Share: Save:

খানাকুলের পাতুল গণেশবাজারে পুজোর মাইক সকাল ১০টাতেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পুজোকে কেন্দ্র করে ১৭০ ঘর বাসিন্দার আনন্দও পলকেই উধাও। হরিপালে বাস দুর্ঘটনায় ওই গ্রামেরই মৌমিতা ঘোষ (২৯) এবং সোনারানি পালের (৭০) মৃত্যুর খবরে গোটা গ্রামে বিষাদের ছায়া। দুপুরে আরতির সময় শুধু একবার ঢাক বাজল গ্রামের একমাত্র হাজরাবাড়ির পুজোয়।

মৌমিতা এবং সোনারানি সম্পর্কে পিসি-ভাইঝি। দু’জনের বাড়ি একশো গজের মধ্যেই। পিসিই এখানে বিয়ে দিয়েছিলেন ভাইঝির। তাঁরা একসঙ্গেই এ দিন বাপের বাড়ি শিয়াখালা যাচ্ছিলেন। মৌমিতার সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্বামী সুপ্রতীপ ঘোষ এবং বছর পাঁচেকের মেয়ে সোনম। সোনারানির স্বামী লক্ষ্মীনারায়ণ পাল তাঁদের পাতুল বাজারে বাসে তুলতে গিয়েছিলেন। স্ত্রীর মৃত্যু খবর কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না লক্ষ্মীনারায়ণ।

তাঁদের বাড়িতে প্রতিবেশীদের ভিড়ের মধ্যেই একতলা পাকাঘরের দাওয়ার এক কোণে বসে লক্ষ্মীনারায়ণ বলে চলেছেন, “লক্ষ্মীপুজোর পর পিসি-ভাইঝি বাপের বাড়ি থেকে ফিরবে বলেছিল। ওরা একেবারেই চলে গেল”। মৌমিতাদের মাটির দু’তলা বাড়ি। স্বামী সুপ্রতীপের মোবাইল সারানোর দোকান। মৌমিতা স্থানীয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যুর খবরে তাঁর সহকর্মীরাও গ্রামের বাড়িতে ভিড় করেছেন। ওই বাড়িতে অবশ্য তখন কেউই ছিলেন না। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সকলেই হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে ছুটেছেন আহত শিশু সোনম এবং সুপ্রতীপের কাছে। তাঁরা অবশ্য সুস্থ আছেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Death Mourn Accident
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE