Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

নিজেদের খরচে শিশু উদ্যান গড়ছেন গ্রামবাসীরা

একজোট হয়ে গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগেই শিশু উদ্যান বানাচ্ছেন পান্ডুয়া স্টেশনের কাছে সারদা পল্লিতে। মাস তিনেকের মধ্যেই নির্মাণকাজ শেষ হয়ে যাবে বলে তাঁদের আশা। গ্রামবাসীরা বলছেন, দীর্ঘদিনের স্বপ্ন এ বার পূরণ হওয়ার পথে।

স্বপ্নপূরণ: মাস তিনেকের মধ্যে পান্ডুয়া স্টেশনের কাছে শিশুদের জন্য এই পার্ক শেষ হবে, আশায় এলাকাবাসী। নিজস্ব চিত্র

স্বপ্নপূরণ: মাস তিনেকের মধ্যে পান্ডুয়া স্টেশনের কাছে শিশুদের জন্য এই পার্ক শেষ হবে, আশায় এলাকাবাসী। নিজস্ব চিত্র

সুশান্ত সরকার
পান্ডুয়া শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৭ ১৩:২৮
Share: Save:

কেউ দিয়েছেন জমি। কেউ টাকা। কেউ বা আনছেন ছোটদের খেলার সরঞ্জাম।

একজোট হয়ে গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগেই শিশু উদ্যান বানাচ্ছেন পান্ডুয়া স্টেশনের কাছে সারদা পল্লিতে। মাস তিনেকের মধ্যেই নির্মাণকাজ শেষ হয়ে যাবে বলে তাঁদের আশা। গ্রামবাসীরা বলছেন, দীর্ঘদিনের স্বপ্ন এ বার পূরণ হওয়ার পথে।

হুগলির এই গ্রামীণ এলাকায় শিশুদের খেলাধুলো করার মতো পার্ক নেই। সময় কাটানোর নির্দিষ্ট জায়গা নেই বয়স্কদেরও। দীর্ঘদিন ধরেই এখানকার প্রবীণ-প্রবীণারা চাইছিলেন এমন একটি জায়গা, যেখানে সকাল-বিকেল বা সন্ধেবেলা তাঁরা দু’দণ্ড সময় কাটাতে পারেন। বাড়ির কচিকাঁচাদের সঙ্গে আনতে পারেন। সেই কারণেই সারদা পল্লিতে এই শিশু উদ্যানের প্রয়াস।

প্রকল্পটি তৈরি হচ্ছে ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য রেখা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তদারকিতে। রেখাদেবী জানান, ১৯৯৬ সালে সারদা পল্লির এক বাসিন্দা শিশু উদ্যান তৈরির জন্য এক বিঘা জমি দিয়েছিলেন। কিন্তু তখন কাজ হয়নি। এতদিনে এলাকার সকলে একজোট হয়েছেন। তাই প্রকল্পটি হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশুদের জন্য পার্কে দু’টি দোলনা, দু’টি স্লিপ, ঢেঁকি এবং সুইমিংপুল থাকবে। দু’টি জিরাফ এবং হরিণের সিমেন্টের মডেলও আনা হবে। রাতে ব্যাডমিন্টন খেলার ব্যবস্থা হবে। তা ছাড়া, পার্কে যুবক-যুবতীদের ভলিবল প্রশিক্ষণ শিবিরের আযোজন করা হবে। নিখরচায় ওয়াই-ফাই পরিষেবারও ব্যবস্থা থাকছে। পার্কে ঢোকার জন্য কোনও টিকিটের ব্যবস্থা থাকছে না।

সারদা পল্লির বাসিন্দা, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্তা শুকদেব মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা সবাই চাই পার্কটি সুন্দর ভাবে গড়ে উঠুক। তাই গ্রামবাসীরা সবাই হাত লাগিয়েছি।’’ আর এক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী শান্তি রামদাস বলেন, ‘‘বিকেল ৩টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উদ্যান খোলা থাকবে। আমাদের মতো বয়স্কেরাও এখানে আড্ডা দিতে পারবেন।’’ মলয় বন্দ্যোপাধ্যায় নামে আর এক গ্রামবাসীর কথায়, ‘‘খোলামেলা পরিবেশ পাব। গল্প করতে পারব। মুক্ত বাতাস পাব। এতে ছোটদেরও মনের বিকাশ ঘটবে।’’

গ্রামবাসীদের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন পান্ডুয়া পঞ্চায়েতের প্রধান অভিজিৎ রায়। তিনি বলেন, ‘‘ডিভিসি খালের পাড়ে মনোরম পরিবেশে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে শিশু ও বয়স্কদের জন্য একটি ইকো-পার্ক গড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের অনুমোদন মিললেই কাজ শুরু হবে। সারদা পল্লির বাসিন্দারা যে ভাবে শিশু উদ্যান বানাচ্ছেন, তা প্রশংসা করার মতো।’’

জোড়া পার্কের জন্য দিন গুনছে পান্ডুয়া।

অন্য বিষয়গুলি:

Children's park Villagers পান্ডুয়া
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE