Advertisement
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভাইঝিকে খুনের নালিশ, ধৃত কাকা

৯ বছরের বালিকাকে খুনের অভিযোগে তার কাকাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম সঞ্জয় দাস। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত স্বীকার করেছে শ্বাসরোধ করে সেই ভাইঝিকে খুন করেছে। মঙ্গলবার চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতকে ৩ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে‌ন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুপ্তিপাড়া শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৬ ০১:৩৯
Share: Save:

৯ বছরের বালিকাকে খুনের অভিযোগে তার কাকাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম সঞ্জয় দাস। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত স্বীকার করেছে শ্বাসরোধ করে সেই ভাইঝিকে খুন করেছে। মঙ্গলবার চুঁচুড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতকে ৩ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে‌ন। গুপ্তিপাড়ার ঘটনা।

নিহত স্কুলছাত্রী রিঙ্কি দাসের বাবা বাসুদেববাবু ভ্যানচালক। ঘটনার দিন অর্থাৎ রবিবার বিকেলে তিনি কাজে বেরিয়েছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ স্ত্রী বুল্টিদেবী কাছেই বোনের বাড়িতে গিয়েছিলেন। আর রিঙ্কি নিজের মূক-বধির দাদার সঙ্গে মুড়ি খাচ্ছি‌ল। কিছুক্ষণ পরে বুল্টিদেবী ফিরে এসে দেখেন, মেয়ে নেই। খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কয়েক ঘণ্টা পরে কাছেই একটি বাড়ির সামনে তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া ওই বালিকাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। কালনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মেয়েটিকে মৃত ঘোষণা করেন। দোষীকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

বুল্টিদেবী বলাগড় থানায় মেয়েকে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে ধৃত ওই যুবক কী কারণে নিজের ভাইঝিকে খুন করল? প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ মনে করছে, কাকার অপরাধমূলক কাজ দেখে ফেলায় তাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই এর থেকে বেশি কিছু বলতে চায়নি পুলিশ।

এ দিকে, স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অসীম মাঝি মেয়েটির বাড়িতে গিয়েছিলেন। প্রতিবাদ মিছিল বের করে সিপিএমও। শুধু তাই নয়, সোমবার বর্ধমান মেডিক্যালে ময়না তদন্তের পরে দেহ গ্রামে নিয়ে আসা হলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ওই দিন রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ মৃতদেহ রেল লাইনে রেখে অবরোধ করা হয় গুপ্তিপাড়া স্টেশনের কাছে। তার জেরে আপ ও ডাউন লাইনে লোকাল এবং এক্সপ্রেস ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে এলাকায় আসেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) কোটেশ্বর রাও। রাত পৌনে ১২টা নাগাদ অবরোধ ওঠে। পুলিশ জানায়, এই ঘটনার মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই। মা বুল্টিদেবী বলেন, ‘‘যে-ই দোষ করে থাকুক, সে যেন কঠোর সাজা পায়।’’ মিছিল বের করে। ময়নাতদন্তের পরে দেহ গ্রামে আনা হলে উত্তেজনা বাড়ে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Murder police
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE