কৃতী: সুদীপ্তা ভৌমিক ও অনুপম পাড়ুই। নিজস্ব চিত্র
কলার ফলন নিয়ে প্রকল্প তৈরি করে ২৬ তম জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসে সাফল্য পেল সিঙ্গুরের হরিশনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই পড়ুয়া। সিনিয়র বিভাগে ‘এ’ গ্রেড পেয়েছে এই স্কুলের দুই শিশু বিজ্ঞানী সুদীপ্তা ভৌমিক এবং অনুপম পাড়ুই। দু’জনেই একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়া।
প্রত্যন্ত এলাকার এই বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের দাবি, সিনিয়র গ্রুপে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে একমাত্র এই দু’জনই ‘এ’ গ্রেড পেয়েছে। পঁচিশতম জাতীয় সায়েন্স কংগ্রেসে এই স্কুলের সৌম্যাদিত্য পাল জুনিয়র গ্রুপে ‘বি প্লাস’ গ্রেড পেয়েছিল।
সম্প্রতি ভুবনেশ্বরে জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেস আয়োজিত হয়। সুদীপ্তা, অনুপমের গাইড শিক্ষিকা ছিলেন রাখী সাহা। প্রকল্পের বিষয় ছিল— ‘বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে কলাগাছ এবং কলার ফলনের বৈষম্য বিশ্লেষণ’। বিদ্যালয়ের জীবন বিজ্ঞান শিক্ষিকা রাখীদেবীর বক্তব্য, হরিশনগর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রচুর কলার ফলন হয়। ফলে, স্থানীয় অর্থনীতিতে কলা চাষ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণেই এমন বিষয় বেছে নেওয়া হয়েছিল।
এর পরেই রাখীদেবীর তত্ত্বাবধানে ছাত্রছাত্রীরা গবেষণা শুরু করে। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বেশির ভাগ জমিতেই একটি অংশের সঙ্গে অন্য অংশের ফলনে অনেক ফারাক। একই চাষির পাশাপাশি দু’টি জমিতে ফলন দু’রকম। যদিও একই ভাবে জমি প্রস্তুত করা হয়। একই সার সমপরিমাণে ব্যবহার করা হয়। বায়োমেট্রি পদ্ধতিতে কলাগাছের উচ্চতা, কাঁদির ওজন, দৈর্ঘ্য, কলার সংখ্যা— সব কিছু পর্যবেক্ষণ শুরু করে খুদে বিজ্ঞানীরা। দেখা যায়, সারিতে নির্দিষ্ট সংখ্যক গাছ থাকলে, মূল গাছের নিচে থাকা তেউর বা চারা ঠিকভাবে পরিষ্কার করলে এবং সেগুলিও নির্দিষ্ট দূরত্বে থাকলে ফলন ভাল হচ্ছে। এই বিষয়টিই সায়েন্স কংগ্রেসে উপস্থাপিত করে সুদীপ্তা-অনুপম জুটি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পড়ুয়াদের তৈরি প্রকল্প জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসে স্বীকৃতি পেয়েছে, এটা খুবই আনন্দের। এই প্রকল্পটি কার্যকর করা গেলে স্থানীয় চাষিরা সুফল পাবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy