Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে লাগাম দিতে কড়া বার্তা

স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দলীয় কর্মীদের এ বিষয়ে সাবধান করেছেন। বৃহস্পতিবার পুরশুড়ায় ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা করতে এসে দলীয় কর্মীদের সতর্ক করেছিলেন তৃণমূল যুবা সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আরামবাগ শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৭ ০২:০৭
Share: Save:

তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে অভিযোগ নতুন নয়। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দলীয় কর্মীদের এ বিষয়ে সাবধান করেছেন। বৃহস্পতিবার পুরশুড়ায় ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা করতে এসে দলীয় কর্মীদের সতর্ক করেছিলেন তৃণমূল যুবা সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার সেই একই বার্তা দিলেন তৃণমূল সাংসদ মুকুল রায়ও। শনিবার বিকেলে আরামবাগের পল্লিশ্রীর হেলিপ্যাড সংলগ্ন মাঠে তৃণমূলের সম্মেলনে মুকুলবাবু বলেন, ‘‘সামনে পঞ্চায়েত ভোট। নিজেদের বাঁচার জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকা প্রয়োজন।’’

মাস খানেক আগেই তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছিল পুরসুড়া। অভিযোগ, এর পিছনে পুরশুড়ার প্রাক্তন বিধায়ক পারভেজ রহমান আর বর্তমান বিধায়ক নূরুজ্জামনের দ্বন্দ্বই কারণ। এ দিন অবশ্য দুজনেই মাইকে বলেন, ‘‘আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই।” দলের দায়িত্ব পালনে উদাসীন নেতাদের নাম ধরে ধরে সতর্কও করেন মুকুল রায়। যেমন আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার নাম ধরে বলেন, “অপরূপাকে বলে যাচ্ছি, চুঁচুড়ায় বসে থেকে আরামবাগে দলের কাজ করা যাবেনা। সাংসদকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে প্রচুর অভিযোগ পাচ্ছি।”

মুকুল রায়ের ৪৭ মিনিটের বক্তৃতার মধ্যে ৩২ মিনিটই ছিল বিজেপিকে আক্রমণ। তিনি বলেন, ‘‘আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। আমাদের হাতে হাত রেখে কাজ করলে, বিজেপি ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারবে না।’’ আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় কর্মীদের মধ্যে টিকিট পাওয়া নিয়ে দলাদলি নিয়েও কড়া বার্তা দেন হুগলির তৃণমূল জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত। এ দিন তাঁর স্পষ্ট কথা, ‘‘যাঁরা কাজ করেননি, তাঁদের এবার টিকিট দেওয়া হবে না।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE