Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

পুরশুড়ায় ফের সংঘর্ষ

দলীয় নেতৃত্বের বার বার বারণ সত্ত্বেও এলাকার বর্তমান এবং প্রাক্তন বিধায়কের অনুগামীদের মধ্যে গোলমাল চলছেই। হরিণখোলা এবং শ্রীরামপুর অঞ্চলের পরে রবিবার রাতে শ্যামপুর অঞ্চলেও সংঘর্ষ হল যুযুধান দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। দিন কয়েক আগেই পুরশুড়ার হরিণখোলা এলাকা পরিদর্শনে যান হুগলি জেলা পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সুকেশ জৈন।

আহত: ছবি: মোহন দাস

আহত: ছবি: মোহন দাস

নিজস্ব সংবাদদাতা
পুরশুড়া শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৭ ০২:২৭
Share: Save:

তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ থামছে না হুগলির পুরশুড়া বিধানসভা এলাকায়।

দলীয় নেতৃত্বের বার বার বারণ সত্ত্বেও এলাকার বর্তমান এবং প্রাক্তন বিধায়কের অনুগামীদের মধ্যে গোলমাল চলছেই। হরিণখোলা এবং শ্রীরামপুর অঞ্চলের পরে রবিবার রাতে শ্যামপুর অঞ্চলেও সংঘর্ষ হল যুযুধান দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। দিন কয়েক আগেই পুরশুড়ার হরিণখোলা এলাকা পরিদর্শনে যান হুগলি জেলা পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সুকেশ জৈন। তারপর পরিস্থিতি সাময়িক নিয়ন্ত্রণে এলেও ফের গোলমাল শুরু হওয়ায় আতঙ্কে সাধারণ মানুষ।

পুলিশ ও তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ১২টা নাগাদ একটি বিয়ে বাড়ি থেকে ফেরার সময়ে দু’জন তৃণমূল কর্মীর উপরে হামলা চালায় তাঁদের বিরুদ্ধ গোষ্ঠী। আহতদের মধ্যে আমিরুল মিদ্যা ওরফে গোপালকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বোমার আঘাতে তাঁর ডান পা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আরেক আহত ফরিদ মিদ্যার প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে। আহতদের অভিযোগ, তাঁরা স্থানীয় বিধায়ক নুরুজ্জামানের অনুগামী। তাই প্রাক্তন বিধায়ক পারভেজ রহমানের অনুগামীরা তাঁদের উপরে বোমা নিয়ে হামলা করেছে।

যদিও এলাকায় পারভেজ রহমানের অনুগামী বলে পরিচিত আবু হুড়াই, শেখ মানোয়ার হোসেন-সহ কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর পাল্টা অভিযোগ, আহতদের কাছেই বোমা ছিল। পুলিশি তল্লাশির ভয়ে সেগুলি সরাতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

আগামী ১৩ জুলাই পুরশুড়ার বিদ্যাসাগর মাঠে ২১ জুলাইয়ের সমর্থনে সভা করতে আসার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার আগে ওই এলাকায় বিরামহীন গোষ্ঠী সংঘর্ষ নিয়ে বিব্রত দলীয় নেতৃত্ব। বিবাদমান দুই গোষ্ঠীই একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা বানচালের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে।

প্রাক্তন বিধায়ক পারভেজ রহমানের দাবি, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা সফল করার জন্য আমরা পথসভা শুরু করেছি। যাঁরা গোলমাল করছে তাঁদের দুষ্কৃতী হিসাবে চিহ্নিত করে পুলিশকে ধরতে বলা হয়েছে।” বর্তমান বিধায়ক মহম্মদ নুরুজ্জামানও বলেছেন, “যারা সংঘর্ষ বাঁধাচ্ছে তাঁরা সবাই দুষ্কৃতী। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। কে কার অনুগামী দেখার দরকার নেই।”

কিন্তু তার পরেও দুই গোষ্ঠী কী ভাবে গোলমাল করছে সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE