১৬ নম্বর ওয়ার্ডে এ ভাবেই ঢাকা পড়েছে বিজেপি-র হোর্ডিং। ছবি: তাপস ঘোষ।
বাঁশবেড়িয়ায় শাসক দলের প্রার্থীর প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল খোদ শাসক দলেরই কর্মীর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশমত জেলা নেতৃত্ব বাঁশবেড়িয়া শহর তৃণমূলের সভাপতিকে পদ থেকে অপসারণও করে। এ বার বিরোধী দলের প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে।
পুলিশ এবং প্রশাসন সূত্রে খবর, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সুবীর নাগের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারের হোর্ডিং লাগানো হয়েছিল পীরতলা এলাকায়। সেই হোর্ডিং এর উপরে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল প্রার্থীর হোর্ডিং লাগিয়ে প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে বিজেপি-র তরফে অভিযোগ করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, দলীয় পতাকা, ফেস্টুন না ছিঁড়ে এ বার অন্য উপায়ে প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তাদের হোর্ডিং ঢেকে তার উপরে নিজেদের প্রার্থীর হোর্ডিং লাগাচ্ছে তৃণমূল। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা সাহা বলেন, ‘‘সব মিথ্যা। আসলে প্রচারের আলোয় আসার জন্য ওই বিজেপি প্রার্থীই তাঁর হোর্ডিং আমাদের হোর্ডিংয়ের পিছনে লাগিয়েছেন।’’
বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, অন্যান্য জেলায় তাদের দলের উপর যে ভাবে হামলা চালানো হচ্ছে, এখানেও সেই চেষ্টা হচ্ছে। তাদের অভিযোগ, শুধু হোর্ডিং ঢেকে দেওয়ায়ই নয়, বেশ কিছু এলাকায় রাতের অন্ধকারে তাদের প্রচারের হোর্ডিং ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। বিজেপির তরফে মহাকুমাশাসক (সদর)-এর কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সদর নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের কাছেও।
মহাকুমা শাসক (সদর) তথা রিটার্নিং অফিসার সুদীপ সরকার বলেন, ‘‘১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীর পক্ষ থেকে প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এসেছে। দফতরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সরেজমিন তদন্তে পাঠিয়েছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
বিজেপি প্রার্থী সুবীর নাগ বলেন, ‘‘বেশ কিছুদিন ধরে শাসকদলের গুন্ডাবাহিনী আমাদের প্রচারে বাধা দিচ্ছে। দলের কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পুরভোটে এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে ভোট বানচাল করার চেষ্টা করছে তৃণমূল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy