প্রতীকী ছবি।
দোতলা বাড়ির তালা ভেঙে, গ্রিল কেটে সোনার গয়না, টাকা, ঘড়ি নেওয়ার পাশাপাশি নববর্ষের জন্য রাখা দামি স্কচের বোতলও ব্যাগে ভরে চম্পট দিল চোরের দল। এমনকি ফ্রিজ খুলে তারা সাবাড় করেছে গোটা কেকও!
বড়দিনের ছুটি কাটাতে পরিবার নিয়ে দেশের বাড়িতে গিয়েছিলেন বালির মোহনলাল বাহালওয়ালা রোডের বাসিন্দা প্রভাসচন্দ্র মাইতি। ২৭ ডিসেম্বর সকালে বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন, ঘরের সব জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোরেরা। বাড়ির ভিতরে ও বাইরে লাগানো সিসি ক্যামেরাতেও ধরা পড়েছে দুই চোরের কীর্তিকলাপের ছবি। সেই ফুটেজ নিয়ে চোরের খোঁজ শুরু করেছে বালি থানার পুলিশ। কয়েক দিন আগেই ফাঁকা বাড়িতে চুরির অভিযোগে কয়েক জন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফের একই ধরনের ঘটনা ঘটল।
পুলিশ সূত্রের খবর, পেশায় প্রোমোটার প্রভাসবাবু গত ২৪ ডিসেম্বর সকালে দিঘায় দেশের বাড়িতে গিয়েছিলেন। পরিকল্পনা ছিল ২৭ ডিসেম্বর বালিতে ফেরার পরে ৩১ ডিসেম্বর রাতে বন্ধুদের সঙ্গে বর্ষবরণ পালন করবেন। সেই মতো স্কচ, কেকের আয়োজনও করে রেখে গিয়েছিলেন। পুলিশকে প্রভাসবাবু জানিয়েছেন, ২৭ ডিসেম্বর, শুক্রবার সকালে বাড়ি ফিরে মূল গেটের তালা খুলে ভিতরে ঢুকতে গিয়ে তিনি দেখেন বাড়ির দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। কিন্তু ওই দরজার বাইরে ঝোলানো তালা ভাঙা। সন্দেহ হতেই বাড়ির পিছন দিকে গিয়ে প্রভাসবাবু দেখেন, শৌচাগারের জানলার গ্রিল উপড়ে নেওয়া হয়েছে। এর পরে স্থানীয় এক যুবককে ডেকে ওই জানলা দিয়ে ঘরের ভিতরে পাঠিয়ে বন্ধ দরজার ছিটকিনি খোলান।
প্রভাসবাবুর অভিযোগ, একতলা ও দোতলার দু’টি ঘরের দরজার তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে সব আলমারি, শোকেস ভাঙা হয়েছে। জামাকাপড়, কাগজপত্র সব লন্ডভন্ড। ওই ব্যক্তি বলেন, ‘‘কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গয়না, নগদ কয়েক হাজার টাকা, দামী ঘড়ি, মোবাইল সব নিয়েছে। নববর্ষ পালনের জন্য রাখা স্কচের বোতলটাও নিয়ে গিয়েছে।’’ প্রভাসবাবুর বাড়ির সামনে এবং ঘরের ভিতর সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তা থেকে তদন্তকারীরা দেখেছেন, ২৬ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১টা নাগাদ পুরো মুখ ঢাকা দুই যুবক এসে ওই বাড়ির সীমানা পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢোকে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তালা ও গ্রিল ভাঙার কাজ করে রাত ২টো নাগাদ ঘরের ভিতরে ঢোকে ওই দু’জন।
তবে ঘরের ভিতরে গিয়ে তারা মুখের ঢাকনা সরিয়ে ফেলে। ডাইনিং রুমে ফ্রিজ খুলতেও দেখা যায় চোরেদের। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে লুটপাট। এর মধ্যে বেশ কয়েক বার বাইরে এসেও এলাকার পরিস্থিতি দেখে এক যুবক। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে তদন্তকারীরা দেখেছেন, দুই চোর মিলে জিনিসপত্র দু’টি ব্যাগে ভরে রাত সওয়া তিনটে নাগাদ ফের পাঁচিল টপকে রাস্তায় নেমে হেঁটে মূল রাস্তার দিকে চলে যায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রভাসবাবু বাড়িতে কত দিন থাকবেন না সে বিষয়ে আগাম খবর ছিল চোরেদের কাছে। আর রীতিমতো রেইকি করেই তারা পুরো কাজটি করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy