জেলায় পুরবোর্ড গঠনে কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা ঝুঁকি নয়। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে রাজ্য নেতৃত্বের এমন মনোভাব স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সম্ভবত সেই কারণেই হুগলিতে বিভিন্ন পুরসভার বোর্ড গঠন নিয়ে দলের স্থানীয় নেতাদের মধ্যে কোনও জটিলতা সৃষ্টি হোক তা চাইছে না সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। এখনও পর্যন্ত যা আঁচ পাওয়া গিয়েছে তাতে, গত পুরর্বোডের যাঁরা এবারও জিতে এসেছেন তাঁরাই মোটামুটি অপরিবর্তিত থাকছেন নতুন পুরবোর্ডে। তবে দু-একটি ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটলেও ঘটতে পারে। বিদ্রোহী নির্দলদের নিয়ে এখনই কিছু ভাবা হবে না বলে বৈঠকে স্থির হয়েছে।
হুগলিতে ১৩টি পুরসভা। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে এ বার জেলার সবকটি পুরসভাতেই বোর্ড গঠন করতে চলেছে তৃণমূল। নতুন পুরবোর্ডে কারা দায়িত্বে আসছেন সম্ভাব্য সে সব নাম বেছে নিতেই বুধবার দলের রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এই বৈঠক হয়।
জেলায় কোন পুরসভার ভার কার হাতে ইতিমধ্যেই হুগলির দুই সাংসদ রত্না দে নাগ এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তার একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেছেন। সেই তালিকার ভিত্তিতেই এদিন বৈঠকে চূড়ান্ত তালিকা তৈরির কাজ এগিয়ে রাখেন পার্থবাবুরা। তবে সেই তালিকা অবশ্যই তৃণমূল নেত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে চূড়ান্ত করা হবে। যে সব ক্ষেত্রে কোনওরকম জটিলতার সম্ভাবনা রয়েছে, সে সব ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেবেন দলনেত্রী নিজে।
বাঁশবেড়িয়া পুরসভায় কে চেয়ারম্যান হবেন তা স্থির করবেন মমতা। তবে দলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বৈঠকে একটি নাম প্রস্তাব করেছেন। হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভায় গতবার যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন তাঁরা এ বারও জিতেছেন। ফলে ওই পুরসভায় এ বার পরিবর্তন হবে না বলেই আপাতত ঠিক আছে। চন্দননগর পুরসভায় আবার মেয়র হতে যাচ্ছেন রাম চক্রবর্তী। চাঁপদানির ক্ষেত্রে কোনও পরিবর্তন না হলেও ভদ্রেশ্বরের নতুন চেয়ারম্যান হচ্ছেন মনোজ উপাধ্যায়। দলীয় সূত্রেই তা জানা গিয়েছে। এর আগে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। বিদায়ী পুরপ্রধান এ বারও জিতেছেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে পুরসভা চালানো নিয়ে নানা অভিযোগ পেয়ে দল তাতে মান্যতা দিয়েই নতুন পুরপ্রধান ঠিক করেছে। বৈদ্যবাটি পুরসভায় চেয়ারম্যান হচ্ছেন অরিন্দম গুঁইন। শ্রীরামপুর পুরসভায় ফের অমিয় মুখোপাধ্যায় চেয়ারম্যান হচ্ছেন। রিষড়া, কোন্নগরের ক্ষেত্রে কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না বলে দলীয় সূত্রের খবর। তবে উত্তরপাড়া পুরসভার বিষয়টি সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। তারকেশ্বর পুরসভা নিয়ে নানা জটিলতা দেখা দেওয়ায় সেখানে চেয়ারম্যান খোদ মমতাই ঠিক করবেন বলে জানা গিয়েছে। আরামবাগ পুরসভার দায়িত্বে ফের স্বপন নন্দীই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy