উদ্ধার: হাসপাতালের পথে প্রৌঢ়। নিজস্ব চিত্র
রাস্তার ধারে পড়ে মাঝেমধ্যে ছটফট করছিলেন তিনি। মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোচ্ছিল। কথা বলতে পারছিলেন না। সোমবার সকালে চন্দননগরের আদি হালদারপাড়ায় এক প্রৌঢ় রিকশা-চালককে এ ভাবে পড়ে থাকতে দেখে এগিয়ে আসেন এলাকারই কিছু মানুষ। তাঁদের তৎপরতায় বাঁচলেন ওই প্রৌঢ়। অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে এনে তাঁকে ভর্তি করানো হল মহকুমা হাসপাতালে।
হাসপাতালের সুপার জগন্নাথ মণ্ডল বলেন, ‘‘গ্যাসের সমস্যা থেকে ওই প্রৌঢ় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এখানে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। স্যালাইন, ওষুধ দেওয়া হয়েছে। আপাতত তিনি বিপন্মুক্ত।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সওয়া ১০টা নাগাদ ওই প্রৌঢ় আদি হালদারপাড়ার গলিতে এক যাত্রীকে নামান। তারপরে জগদ্ধাত্রী পুজো মণ্ডপ ছাড়িয়ে কিছুটা এগোতেই অসুস্থ বোধ করায় প্রথমে রিকশাতেই শরীর এলিয়ে দেন। তারপরে শুয়ে পড়েন রাস্তার ধারে। এলাকাবাসীদের কয়েকজন তাঁকে চেনেন। কিন্তু তাঁর নাম বা বাড়ির ঠিকানা জানতেন না। প্রৌঢ় কথা বলতে না-পারায় তাঁরা কিছুটা সমস্যাতেও পড়েন। প্রথমে তাঁরা জল খাইয়ে, মাথায় জল দিয়ে প্রৌঢ়কে কিছুটা চাঙ্গা করার চেষ্টা করেন। একজন গ্যাসের ওষুধও এনে খাওয়ান। কিন্তু তাতেও প্রৌঢ় জোর পাচ্ছিলেন না। শেষমেশ অ্যাম্বুল্যান্স আনা হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশেও।
পুলিশ আসার আগেই অবশ্য অ্যাম্বুল্যান্স করে প্রৌঢ়কে হাসপাতালে নিয়ে যান আদি হালদারপাড়ার কয়েকজন। বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় নামে ওই এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘বয়স্ক মানুষটা রিকশা থেকে যাত্রী নামিয়ে ফেরার সময়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা গিয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই।’’ আর এক যুবক বলেন, ‘‘কাছাকাছি রিকশা-স্ট্যান্ডগুলিতেও খোঁজখবর করা হয়। কিন্তু সেখান তেকে প্রৌঢ় সম্পর্কে কোনও তথ্য মেলেনি। পরে জানা যায়, তাঁর বাড়ি ভদ্রেশ্বরে। কিন্তু ঠিকানা বা যোগাযোগের কোনও ফোন নম্বর পাওয়া যায়নি।’’
পুলিশ জানায়, ভদ্রেশ্বর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ওই প্রৌঢ়ের পরিবার যাতে খবর পায়, সে চেষ্টা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy