Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

আশ্বাস পেয়ে পথে নামল বাস

শীঘ্রই রাস্তা সংস্কার করা হবে। এই আশ্বাস পাওয়ার পরে বৃহস্পতিবার থেকে আরামবাগ থেকে গোঘাটের বালিদেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত বাস চলাচল শুরু হল।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গোঘাট শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:৪৬
Share: Save:

শীঘ্রই রাস্তা সংস্কার করা হবে। এই আশ্বাস পাওয়ার পরে বৃহস্পতিবার থেকে আরামবাগ থেকে গোঘাটের বালিদেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত বাস চলাচল শুরু হল।

রাস্তা সংস্কারের দাবিতে বছরে প্রায় নিয়ম করে বার দুই অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস বন্ধের ডাক দিয়ে পরিষেবা বন্ধ রাখেন মালিকেরা। প্রশাসন জোড়াতালি দিয়ে রাস্তা সংস্কার করলে ফের বাস চলে। আরামবাগ থেকে গোঘাটের বালিদেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার এই রাস্তা প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পে তৈরি হয়। সম্প্রতি বৃষ্টি ও জল জমে যাওয়ার জন্য রাস্তার ক্ষতি হয়। কিন্তু রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় গত ১৭ অগস্ট থেকে টানা বাস বন্ধ ছিল। ফের গোঘাট ১ ব্লকের বিডিও অসিতবরণ ঘোষ রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দেওয়ায় বাস পরিষেবা চালু হয়।

গোঘাট ১ ব্লক সূত্রে জানা যায়, আরামবাগের কালীপুর থেকে গোঘাটের দামোদরপুর পর্যন্ত সরু গ্রামীণ রাস্তাটি প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পে নির্মাণের অনুমোদন পায় ২০০৩ সালে। কেন্দ্র সরকার রাস্তাটির জন্য বরাদ্দ করে ৪ কোটি ৬৩ লক্ষ ২১ হাজার টাকা। কাজটির ওয়ার্ক অর্ডার হয় ২০০৪ সালের অক্টোবর মাসের ১৯ তারিখ। কাজ শেষ করার সময় ছিল ২০০৫ সালে ১৯ জুলাই। কিন্তু কাজটি শেষ হয় ২০০৬ সালের ১ জুন। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, রাস্তা নির্মাণের দু’বছর যেতে না যেতেই বেশ কিছু এলাকায় ভেঙেচুরে যায়। রাস্তাটি সংস্কারের দাবিতে ক্ষোভ-বিক্ষোভ এবং প্রশাসনিক মহলে দরবার করেও সুরাহা হয়নি। ২০১১ সাল থেকে রাস্তাটি একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায়। নিয়ম আনুযায়ী তখন রাস্তা সংস্কারের কথা জেলা পরিষদের। কিন্তু জেলা পরিষদ রাস্তা সংস্কার নিয়ে উদাসীন বলে অভিযোগ।

বর্তমানে রাস্তাটিতে পিচের বিন্দুমাত্র অস্তিত্ব নেই। রাস্তা জুড়ে খানাখন্দ। কোথাও কোথাও আবার অনেকটা এলাকা নিয়ে গভীর গর্ত হয়ে ডোবার আকার নিয়েছে। মাসের পর মাস গোঘাটের বালি পঞ্চায়েত এলাকার এই রাস্তা দিয়েই ছাত্রছাত্রী যাতায়াত করে। এ ছাড়া সাইকেল, মোটরবাইক, রিকশা এবং বাস চলাচল করে। রাস্তাটির গুরুত্বও অনেক। আগে আরামবাগ থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে যাতায়াত চলত মূলত ক্ষীরপাই হয়ে। গাড়িতে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা লেগে যেত। অথচ এই দামোদরপুর হয়ে যেতে মাত্র দেড় ঘণ্টা লাগে। বাস মালিক সংগঠনের সম্পাদক অভয় বীট বলেন, ‘‘প্রায় প্রতিদিন বাসের যন্ত্রাংশ ভাঙছে। দুর্ঘটনা ঘটছে। বহুবার বাস বন্ধ রেখে প্রতিবাদ করেছি। প্রশাসন কথা দেয়। কিন্তু জোড়াতালি দেওয়া ছাড়া স্থায়ী কোনও পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না।’’

রাস্তাটি সংস্কার নিয়ে হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি তৃণমূলের মেহবুব রহমান বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা প্রকল্পে তৈরি জেলার অনেক রাস্তার অবস্থা খারাপ। তার মধ্যেই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ধীরে ধীরে সব রাস্তাই সংস্কার করা হবে। কালীপুর-দামোদরপুর রাস্তাটিও ওই তালিকায় রয়েছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Road reformation Bus starts
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE