প্রতীকী ছবি।
পুলওয়ামায় জঙ্গি-হানার প্রতিবাদে নানা এলাকায় মোমবাতি-মিছিল হচ্ছে। হুগলিতে এ জাতীয় মিছিলে পুলিশের অনুমতি নিতে হবে উদ্যোক্তাদের। মিছিল থেকে যাতে কোনও অশান্তি বা গোষ্ঠী-সংঘর্ষ না-ঘটে সে জন্যই নানা পদক্ষেপের মধ্যে অনুমতিও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট এবং জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের কর্তারা।
গত রবিবারেই শ্রীরামপুরে গোষ্ঠী-সংঘর্ষ হয়েছে। দু’বছর আগে চন্দননগরেও গোষ্ঠী-সংঘর্ষের উদাহরণ রয়েছে। তাই এ বার বাড়তি সতর্ক পুলিশ। অবাধ মোমাবাতি-মিছিল নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে তারা। পুলিশ জানিয়েছে, দেখেশুনে ওই মিছিলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি পদযাত্রায় আগাগোড়া পুলিশ থাকছে। কারণ আবেগের বশে ওই মিছিল থেকে অনেক ক্ষেত্রে এমন সব ‘স্লোগান’ দেওয়া হচ্ছে, যার জেরে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। মিছিলের উদ্যোক্তাদের পুলিশের তরফে আগাম জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, কোনও ধরনের উত্তেজক ‘স্লোগান’ দেওয়া যাবে না। পুলিশের সতর্কবার্তায় কোনও উদ্যোক্তা গুরুত্ব না দিলে, সেই মিছিল বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে পুলিশের পদস্থ কর্তারা জানিয়েছেন।
চন্দনননগরের পুলিশ কমিশনার অখিলেশ চর্তুবেদী বলেন, ‘‘কমিশনারেটের তরফে পুলিশকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পুলিশের নজরদারি জায়গায় জায়গায় বাড়ানো হয়েছে।’’ জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘এখন মাধ্যমিক চলছে। তার উপর পুলিশের সংখ্যা হাতেগোনা। এই পরিস্থিতিতে পাড়ায় পাড়ায় মোমাবাতি-মিছিল হলে প্রতি ক্ষেত্রে পুলিশ দেওয়া চাপের। কিন্তু পরিস্থিতি যা, তাতে অন্য উপায়ও নেই।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দননগরের উর্দিবাজার, সেগুন বাগান, ভদ্রেশ্বরের চাঁপদানি, বিশেষত শ্রমিক মহল্লাগুলিতে সাদা পোশাকের পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চকেও স্থানীয় এলাকা থেকে খবর সংগ্রহে জোর দিতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy