পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি সিদ্ধার্থনাথের। ছবি: তাপস ঘোষ।
শাসক দল তৃণমূলের কর্মসূচির সঙ্গে একই সময়ে দলের অন্যতম কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিংহের ‘রোড শো’র আয়োজন করে ফেলেছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। এ নিয়ে গোলমালের আশঙ্কায় শনিবার হুগলির চাঁপদানিতে সিদ্ধার্থনাথের ‘রোড শো’ প্রথমে আটকে, পরে ঘুরিয়ে দিল পুলিশ। প্রতিবাদে আধ ঘণ্টা জি টি রোড অবরোধ করলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। শনিবার ওই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় চাঁপদানিতে। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। শেষ পর্যন্ত পুলিশ অন্য রাস্তা দিয়ে ওই রোড-শো ঘুরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিলে বিজেপি নেতৃত্ব রাজি হয়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুর তিনটে নাগাদ বিজেপিকে তাঁদের কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু তা শুরু হয় প্রায় দু’ঘণ্টা পরে। সেই একই সময় তৃণমূলের একটি মিছিল এবং সভা হওয়ার কথা ছিল চাঁপদানিতে। পরিস্থিতি তপ্ত হয়ে ওঠার আশঙ্কায় ভদ্রেশ্বর থানার ওসি অনুদ্যুতি মজুমদার বিশাল বাহিনী নিয়ে এসে পথ আগলে দাঁড়ান সিদ্ধার্থনাথের। তাতে দৃশ্যতই উত্তেজিত হয়ে পড়েন বিজেপি-র ওই সবর্ভারতীয় নেতা।
সিদ্ধার্থনাথ বলেন,‘‘পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। শাসক দল মিটিং-মিছিল করবে। কিন্তু বিরোধীরা করতে পারবে না। এই পরিস্থিতিতে মানুষ আদৌ ভোট দিতেই পারবেন কি না সেই আশঙ্কা রয়েছে।’’ জেলার পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী অবশ্য বলেন, ‘‘চাঁপদানিতে ঝামেলা এাড়াতে পুলিশ একই জায়গায় দু’টি দলকে তাঁদের কর্মসূচি করতে দেয়নি। ওই এলাকাটি স্পর্শকাতর।’’ চাঁপদানির কর্মসূচি সেরে এ দিন সন্ধ্যায় সিদ্ধার্থনাথ বাঁশবেড়িয়ায় প্রচারে যান। রাজ্যের একমাত্র বিজেপি বিধায়ক শমীক সকালে সভা করেন শ্রীরামপুরে।
এত দিন কলকাতায় নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ততার কারণে কোনও দলেরই বড় নেতাদের সে ভাবে জেলায় দেখা যায়নি। কলকাতার প্রচারের পাট চুকতেই শনিবার হুগলির বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী দলের নেতারা কোমর বেঁধে প্রচারের ময়দানে নেমে পড়েন। সকালে বিজেপি-র রাজ্যসভার সাংসদ চন্দন মিত্র ব্যান্ডেল থেকে চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড় পর্যন্ত রোড-শো করেন। তাঁর সঙ্গে প্রচারে ছিলেন অভিনেত্রী অঞ্জনা বসু।
সিপিএমের তরফে এ দিন ডানকুনি, রিষড়া-সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় মিছিল করা হয়। শ্রীরামপুরে সিপিএম প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেন। সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরীর অভিযোগ, ‘‘পুলিশ-প্রশাসন প্রচারে পদে পদে বাধা দিচ্ছে। ’’
এ দিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ডানকুনি এবং শ্রীরামপুরে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে সভা করেন। অধীর বলেন, ‘‘মাত্র চার বছরেই কী এমন হল যে শাসকদলকে বোমা মেরে ভোট করতে হচ্ছে! ’’ বিরোধীরা প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়লেও তুলনায় এ দিন শাসক দলের প্রচার ছিল কিছুটা ম্লান। জেলা তৃণমূল সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বাঁশবেড়িয়ায় পদযাত্রা করেন। তারকেশ্বরে মিছিল করেন রচপাল সিংহ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy