নতুন: বিরোধীদের অভিযোগ শুনছেন পুর-কমিশনার। নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন নিয়ে গ্রামাঞ্চলে হাতাহাতির আবহেই হুগলির চন্দননগরে উল্টো ছবি। সোমবার সেখানে পুরসভার বোর্ড ভেঙে দিয়ে জনপ্রতিনিধিদের হাত থেকে ক্ষমতা দেওয়া হল পুর কমিশনারের হাতে। পুর কমিশনার স্বপন কুণ্ডু এ দিন চন্দননগর পুরসভার দায়িত্ব বুঝে নিলেন।
পুর-পরিষেবা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চন্দননগরের বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ। বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুরসভার ভূমিকা। সেই নিয়ে দলীয় কাউন্সিলরদের সঙ্গে রাজ্য ও জেলাস্তরে দফায় দফায় বৈঠক হয় মাস কয়েক আগে। সর্তক করা হয় কাউন্সিলরদের। কিন্তু অভিযোগ, তাতেও সুরাহা বিশেষ হয়নি।
তৃণমূল সূত্রের খবর, পুরসভার পদাধিকারীদের ঝামেলায় বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বোর্ড ভাঙার নির্দেশ দেন। পরিস্থিতির উপর রাশ টানতে প্রশাসকের হাতেই পুরসভার দায়িত্ব তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। সোমবার চন্দননগরে পুরসভার সেই কাজই বুঝে নেন পুর কমিশনার।
দায়িত্ব পাওয়ার প্রথম দিনেই দুর্নীতি-স্বজনপোষণ ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের দাবিতে পুর-কমিশনারের দ্বারস্থ হলেন বিরোধীরা। আবার বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের দায়িত্ব সম্বন্ধে আলোচনা করতে পুর-কমিশনারের কাছে হাজির হন পুরসভার প্রাক্তন মেয়র রাম চক্রবর্তী-সহ কয়েকজন কাউন্সিলররা।
পুর কমিশনারের হাতে দায়িত্ব সঁপে দেওয়ার পর পুরসভায় তাঁদের কী ভূমিকা হবে, জনপ্রতিনিধি হিসেবে আদৌ আর কোনও ভূমিকা থাকবে কি না তা িনয়ে ধন্দে রয়েছেন কাউন্সিলরদের একাংশ।
পুরসভা সূত্রের খবর, কাউন্সিলররা এরপর থেকে আর কোনও আর্থিক ক্ষমতা এবং পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষমতায় থাকবেন না। তাঁরা শুধুমাত্র পুর কমিশনারের নির্দেশ মতো কাজ করবেন।
পুর-কমিশনার স্বপন কুণ্ডু বলেন, ‘‘পুরসভার দায়িত্ব আগেও পালন করেছি। তবে আগে পুরবোর্ড থাকাকালীন যে কোনও সিদ্ধান্ত সকলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নেওয়া হত। নতুন বোর্ড গঠন না হওয়া পর্যন্ত পুরসভার সমস্ত দায়িত্ব আমাকেই দায়িত্ব পালন করতে হবে।’’
রাম চক্রবর্তীর আশ্বাস, ‘‘এর ফলে পুর পরিষেবা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনও ব্যাঘাত ঘটবে না। সাধারণ মানুষ পুরপরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন না।’’
সিপিএমের বিরোধী দলনেতা রমেশ তেওয়ারির অবশ্য কটাক্ষ, ‘‘আদতে তৃণমূল যে দুর্নীতিগ্রস্ত, পুরবোর্ড ভাঙার ফলে সেটা আবার প্রমাণিত হয়ে গেল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy