উলুবেড়িয়ার ফুলেশ্বরে ফাঁকা পিকনিক করার জায়গা। নিজস্ব চিত্র।
বর্ষশেষে চড়ুইভাতির আসর জমল না হাওড়ায়। জেলার নামী ‘পিকনিক স্পট’গুলি কার্যত শুনশান ছিল।
মহিষরেখা, ফুলেশ্বর, গড়চুমুক, গাদিয়াড়া— এই সব জায়গায় দামোদর এবং গঙ্গার ধারে প্রতি বছর বর্ষশেষে পিকনিক করতে আসা লোকজনের ভিড় জমে ওঠে। সেই তূলনায় বৃহস্পতিবার এ সব এলাকায় ভিড় ছিল না বললেই চলে। যে ক’টি দল এসেছিল, তাদের মধ্যেও মহিলা এবং শিশুর সংখ্যা ছিল নগণ্য।
এ দিন দুপুরে মহিষরেখায় গিয়ে দেখা গেল, দামোদরের পাড় একেবারে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। জঞ্জালের লেশমাত্র নেই। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসেছে কয়েকটি চড়ুইভাতির দল। প্রায় প্রতিটি দলই পুরুষদের। প্রায় কেউই মাস্ক পরেননি। আট-দশ জন একত্রে বসে প্রকাশ্যে মদ্যপান করছেন। দূরে পুলিশ দাঁড়িয়ে। তারস্বরে বাজছে ডিজে। পুলিশের বক্তব্য, কোনও অশান্তি হয়নি। ডিজে নিয়েও কেউ অভিযোগ করেননি।
এই এলাকা পড়ে উলুবেড়িয়া-১ ব্লকের চণ্ডীপুর পঞ্চায়েতে। চড়ুইভাতির মরসুম শুরু হওয়ার আগেই এই এলাকা তারা পরিষ্কার করে দেয় বলে পঞ্চায়েত সূত্রের খবর। শুধু তা-ই নয়, কোভিড-বিধি মেনে চড়ুইভাতি করা, প্রকাশ্যে মদ্যপান না করার আবেদন জানিয়ে ফ্লেক্সও ঝোলানো হয়েছে। পঞ্চায়েত ফ্লেক্স ঝোলালেও লাভ হয়নি।
ফুলেশ্বরে যাঁরা চড়ুইভাতি করতে যাচ্ছিলেন, তাঁদের গাড়ি পরীক্ষা করে উলুবেড়িয়ার নরেন্দ্র মোড় থেকেই পুলিশ ডিজে নামিয়ে নেয়। ফলে, ফুলেশ্বরে গঙ্গার ধারে চড়ুইভাতি হয় ডিজে ছাড়াই। এখানেও খুব বেশি মানুষ আসেননি। একই ছবি দেখা যায় শ্যামপুরের গড়চুমুকেও।
‘মাধবপুর পরিবেশ চেতনা সমিতি’র কর্ণধার জয়িতা কুণ্ডু কুঁতি বলেন, ‘‘চড়ুইভাতির জায়গাগুলিতে যাতে জমায়েত করতে না দেওয়া হয় সে জন্য পুলিশ-সহ প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে আমরা আবেদন জানিয়েছিলাম। দেখা গেল মানুষ নিজে থেকেই আসেননি। তাঁদের এই সচেতনতা প্রশংসার যোগ্য।’’
পুলিশেরও বক্তব্য, ভিড় না হওয়া সচেতনতার লক্ষণ। একইসঙ্গে জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের এক কর্তা জানান, বর্ষশেষের হুল্লোড় বন্ধ করতে আদালতের নির্দেশ এবং রাজ্য সরকারের কঠোর মনোভাবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের নজরদারি আরও নিবিড় করা হয়েছিল। ফলে যে গুটিকয় মানুষ এসেছিলেন, তাঁরাও অতিরিক্ত হুল্লোড়ে মেতে ওঠার সাহস পাননি।
তবে, হুগলির আরামবাগের চাঁদুর জঙ্গল এবং নদনদীর চরে কিছু পিকনিক হয়েছে। মাইক এবং ডিজে-ও বেজেছে কিছু জায়গায়। তবে, লোকালয় থেকে অনেক তফাতে থাকায় কোথাও কোনও অভিযোগ হয়নি। চাঁদুর, কামারপুকর-সহ কয়েকটি জায়গায় পুলিশ গিয়ে ডিজে বাজানো বন্ধ করে। গোঘাটের গড়মান্দারণ পর্যটন কেন্দ্র এবং খানাকুলের রাজা রামমোহনের আমবাগান বন্ধ থাকায় সেখানে পিকনিক হয়নি।
এ দিন সকাল থেকে ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রচার করে। প্রকাশ্যে মদ্যপান এবং দ্বারকেশ্বরে স্নান বা নৌকাবিহারও নিষিদ্ধ করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy