চলছে কাজ। — দীপঙ্কর মজুমদার
যথেষ্ট সংখ্যক শৌচাগার না থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হওয়া এখানে নিত্য দিনের ঘটনা। সাঁতরাগাছি স্টেশনের শৌচাগারে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে যাত্রীদের ট্রেন ছেড়ে যাওয়া তো আকছার ঘটে। এর সঙ্গে রয়েছে তীব্র দুর্গন্ধ। সেই ছবি এ বার বদলাতে চলেছে বলে দাবি রেলের। দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রে খবর, সাঁতরাগাছি স্টেশন জুড়ে ঝাঁ চকচকে শৌচালয় ব্লক তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
রেলের দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় হাওড়ার পরেই সাঁতরাগাছি এক উল্লেখযোগ্য স্টেশন। দূরপাল্লার প্রায় সব ট্রেনই দাঁড়ায় ওই স্টেশনে। পাশেই কোনা এক্সপ্রেসওয়ে থাকায় নিত্যযাত্রীদের কলকাতা যাতায়াত অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। ফলে অসংখ্য যাত্রী এই স্টেশন দিয়ে যাতায়াত করেন।
দক্ষিণ-পূর্ব রেল সূত্রে খবর, সাঁতরাগাছিতে এখন ছ’টি প্ল্যাটফর্ম আছে। দুই-তিন এবং চার-পাঁচ
নম্বরে দু’টি করে শৌচালয় আছে। এক সঙ্গে তিন জনের বেশি সেখানে ঢুকতে পারে না। এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে সেটুকুও নেই। এ বার অবশ্য আড়ে বহরে বাড়ছে শৌচালয়গুলি।
রেলের এক কর্তা জানান, ঝাঁ চকচকে প্রতিটি ব্লকে এক সঙ্গে বারো জন ঢুকতে পারবেন। প্রতিবন্ধীদের কথা ভেবে হচ্ছে বিশেষ শৌচালয়। হুইলচেয়ার ঢুকতে পারার মতো ব্যবস্থাও থাকবে। নিয়মিত সেগুলো পরিচ্ছন্ন রাখা ও দুর্গন্ধ মুক্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। এক নম্বর প্ল্যাটফর্মেও শৌচালয় ব্লক করেছে রেল।
সাঁতরাগাছি স্টেশনকে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা বছর কয়েক আগে শুরু হলেও বাজেটে অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় দ্রুত কাজ শেষ করা যাচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন রেলকর্তারা। পাঁচ এবং ছয় নম্বর প্ল্যাটফর্মের ওপরে ভবন তৈরি করা হচ্ছে।
যার নীচে বুকিং কাউন্টার থাকবে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ জানান, হাওড়া স্টেশনের মতো এখানেও বিশ্রামাগার হচ্ছে। তিন ও চার নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে একটি প্রায় ছ’শো মিটার লম্বা ‘আইল্যান্ড প্ল্যাটফর্ম’ হতে চলেছে। তিন নম্বরে মূলত খড়্গপুরগামী ট্রেন দাঁড়ায়। মাঝে মধ্যে সেগুলো চার নম্বরেও যায়। দুই প্ল্যাটফর্মের মাঝের দূরত্ব একশো মিটারেরও বেশি। ফলে কার্যত ঘাম ছুটে যায় যাত্রীদের। নতুন প্ল্যাটফর্ম হলে যাত্রীদের কিছুটা সুবিধা হবে বলে মত সঞ্জয়বাবুর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy