কোমরে ধারালো অস্ত্র গোঁজা। যুবক সটান ঢুকে পড়েছিলেন হাসপাতালে। কর্তব্যরত নার্সদের রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলতে থাকেন, রোগীদের ঠিক মতো চিকিৎসা করছেন না ডাক্তারেরা। এমন চললে যে ফল খুব খারাপ হবে, তা-ও জানিয়ে দেন তিনি। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরে। পরে অবশ্য পুলিশ এলে জানা যায় পাভলভ মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ওই যুবকের। তাঁর পকেট থেকে মেলে চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্রও। তাতেই প্রথমে আটক করা হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া জেলা হাসপাতালে। মহম্মদ সিদ্দিকি আনসারি নামে বছর একুশের ওই যুবক শিবপুরের পিএম বস্তির বাসিন্দা। পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে খবর, এ দিন দুপুর ২টো নাগাদ রক্ষীদের চোখ এড়িয়ে মহিলা ওয়ার্ডে ঢুকে পড়েন আনসারি। সেখানেই নার্সদের হুমকি দিতে থাকেন তিনি। তাঁর আচরণে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন নার্সেরা। তাঁরা নিরাপত্তারক্ষীদের ডাকার আগেই অশ্রাব্য গালিগালাজ করে ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে যান ওই যুবক। পরে ওয়ার্ডের কর্তব্যরত এক নার্স পূর্ণিমা প্রামাণিক বলেন, ‘‘ওই যুবক অসংলগ্ন কথা বলছিলেন। আর মাঝে মাঝেই কোমরে রাখা ধারালো অস্ত্র দেখাচ্ছিলেন। আমরা ভয় পেয়ে যাই।’’
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মহিলা ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে ওই যুবক মেন বিল্ডিংয়ের দোতলায় ওঠার চেষ্টা করেন। কিন্তু রক্ষীরা সিঁড়িতেই ধরে ফেলেন তাঁকে। খবর যায় পুলিশে। পুলিশ এসে ওই যুবককে থানায় নিয়ে যায়। উদ্ধার হয় অস্ত্রটি। পুলিশের দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পরে ওই যুবকের পকেটে রাখা টাকার ব্যাগ থেকে পাভলভ মানসিক হাসপাতালের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পাওয়া যায়। তা থেকে জানা যায়, ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন।
হাওড়ার পুলিশ কমিশনার ডিপি সিংহ বলেন, ‘‘যুবকটির কাছ থেকে পাওয়া মানসিক হাসপাতালের কাগজপত্র পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে উনি মানসিক ভারসাম্যহীন। হাসপাতালের কর্মীরাও জানিয়েছেন তিনি হাসপাতালে ঢুকে অস্বাভাবিক আচরণ করেছেন। তাই তাঁর বাড়ির লোককে ডেকে পাঠিয়ে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy