মাসছয়েক আগে খাতায়-কলমে ‘নির্মল জেলা’ হয়েছে হুগলি। কিন্তু পান্ডুয়ার ক্ষীরকুণ্ডী নমাজগ্রাম নিয়ালা পঞ্চায়েতের একটি গ্রামের বেশ কিছু পরিবারের এখনও ভরসা খোলা মাঠ!
ওই পঞ্চায়েতের বেশির ভাগ মানুষই গরিব। দিনমজুরি বা খেতমজুরি করে সংসার চালান। রায়পাড়া-নিয়ালা গ্রামে এখনও সব পরিবার শৌচাগার পায়নি। আবার অনেক পরিবার শৌচাগার পেয়েও মাঠে যাচ্ছে। ফলে, এই জেলায় ‘মিশন নির্মল বাংলা’র সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
কিন্তু কেন এখনও শৌচাগার পেলেন না ওই গ্রামের বেশ কিছু পরিবার? আর যাঁরা পেয়েছেন, তাঁরাই বা কেন ব্যবহার করছেন না?
মালা রায় নামে এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘শৌচাগার নির্মাণের জন্য আমার থেকে ৯০০ টাকা নিয়েছে পঞ্চায়েত। কিন্তু যে শৌচাগার বানিয়ে দিয়েছে, সেখানে ওঠাবসা করা যায় না। তাই মাঠে যেতে হয়।’’ মালতি রায় নামে আর এক গ্রামবাসীর অভিযোগ, ‘‘শৌচাগার হলেও কুয়ো হয়নি। তাই ব্যবহার করা যাচ্ছে না। শৌচাগারে কাঠকুটো, ঘুঁটের বস্তা রাখি।’’ শেখ আতাউর রহমান মণ্ডল নামে আর এক জন বলেন, ‘‘এখানে পঞ্চাশেরও বেশি বাড়িতে শৌচাগার হয়নি। আবার যা হয়েছে, সেটাও অসম্পূর্ণ হয়ে পড়ে রয়েছে।’’
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং ব্লক প্রশাসনকে সমস্যার কথা জানানো হলেও কোনও সুরাহা হচ্ছে না। কয়েক জনের অভিযোগ, ওই গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য শেখ মতিয়ারকে এ জন্য কয়েকশো টাকা দিয়েও লাভ হয়নি। মতিয়ার এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে, পঞ্চায়েত প্রধান বেবি বাউল দাস বলেন, ‘‘যাঁদের বাড়িতে শৌচাগার হবে, তাঁদের ১৯৩৬ টাকা জমা দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা কেউ ওই টাকা দেননি বলে শৌচাগার করতে পারিনি। শৌচাগার হয়ে গেলে ওই টাকা তাঁরা ফেরত পাবেন। কিন্তু কেউ সাড়া দিচ্ছেন না।’’
পান্ডুয়ার যুগ্ন বিডিও সুব্রত সরকার জানিয়েছেন, ওই দু’টি গ্রামের বেশ কিছু বাড়িতে বাসিন্দাদের শৌচাগার সম্পূর্ণ হয়নি বলে অভিযোগ এসেছে। দু’এক দিনের মধ্যেই গ্রামবাসীদের নিয়ে আলোচনায় বসা হবে। শৌচাগারের জন্য টাকা দেওয়ার অভিযোগও খতিয়ে দেখা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy