বধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। সোমবার আমতার বলাইমাঝি গ্রামের ঘটনা। পুলিশ মহিলার স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে। আরও দুই অভিযুক্ত পলাতক। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম অর্চিতা পোড়েল (২৫)। রবিবার, দোলের দিনে তাঁর গায়ে কেরোসিন তেল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সোমবার দুপুরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশ ও মহিলার বাপের বাড়ি সূত্রে খবর, কুমারিয়া গ্রামের অর্চিতাদেবীর সঙ্গে বছর পাঁচেক আগে বলাইমাঝি গ্রামের শ্রীকান্ত পাত্রের বিয়ে হয়। বিয়ের আগে থেকেই তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। দম্পতির বছর চারেকের একটি ছেলেও রয়েছে। অচির্তাদেবীর দাদা রজত কোলের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে তাঁদের কাছে টাকা চাওয়া হতো। তিনি বলেন, ‘‘বোন প্রায়ই আমাদের বলত, শ্বশুরবাড়ি থেকে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে। কিন্তু আমি সামান্য দিনমজুরের কাজ করি। টাকা পাঠাতে পারিনি। সেই কারণে বোনের উপরে অত্যাচার করত ওরা।’’ তিনি জানান, রবিবার, দোলের দিন বোনের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করে বলা হয়, অর্চিতা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে মাকে নিয়ে তিনি বোনের শ্বশুরবাড়িতে যান। গিয়ে দেখেন বোনের শরীর ঝলসে গিয়েছে। বোন তাঁদের জানায়, তাঁকে কেরোসিন তেল ঢেলে স্বামী, শাশুড়ি, ননদ এবং শ্বশুর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে প্রথমে আমতা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার সেখানেই মারা যায় অর্চিতা।
বোনের মৃত্যুতে সোমবারই রজতবাবু স্বামী-সহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় বোনকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ দায়ের করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy