Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, গ্রেফতার স্বামী-সহ পাঁচ

সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় শাড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। লাবণি দাস (২৩) নামে ওই মহিলার বাঁ হাতের শিরাও কাটা ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। সোমবার রাতে সলপের ডাঁসি এলাকার ঘটনা। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ডোমজুড় শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০০:৪১
Share: Save:

সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় শাড়ির ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। লাবণি দাস (২৩) নামে ওই মহিলার বাঁ হাতের শিরাও কাটা ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। সোমবার রাতে সলপের ডাঁসি এলাকার ঘটনা। মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে।

মৃতার বাবার অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজনের প্ররোচনাতেই আত্মহত্যা করেছে তাঁর মেয়ে। লাবণি দেবীর বাবা প্রশান্ত গুছাইতের অভিযোগ, মাস পাঁচেক আগে মেয়ের একটি কন্যাসন্তান জন্মায়। প্রসবের কিছু দিন পরেই মারা যায় সে। এর জন্য নিত্য গঞ্জনা জুটত শ্বশুরবাড়িতে। সঙ্গে ছিল আরও পণের দাবিতে নির্যাতন। এ সব সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যা করেছে তাঁর মেয়ে। অভিযোগের ভিত্তিতে লাবণিদেবীর স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির পাঁচজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ ও বাপের বাড়ি সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক আগে জগৎবল্লভপুরের বাসিন্দা লাবণির বিয়ে হয় ডোমজুড়ের ডাঁসির বাসিন্দা মনোজ দাসের সঙ্গে। মনোজ সলপেই একটি কারখানায় কাজ করেন। মাস পাঁচেক আগে তাঁদের একটি কন্যাসন্তান হয়। দিন দশেক পরে সে মারা যায়। অভিযোগ, এর জন্য শ্বশুরবাড়ির লোকজন লাবণিদেবীকেই দায়ী করতে থাকে। তাঁকে গঞ্জনাও দেওয়া হতো। প্রশান্তবাবুর আরও অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ি থেকে টাকাপয়সা আনার জন্যও চাপ দেওয়া হতো মেয়েকে। সোমবার রাতে খাওয়াদাওয়ার জন্য লাবণিকে ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখেন সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় শাড়ির ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন তিনি। পুলিশে খবর দিলে তারা এসে দেহ উদ্ধার করে।

অন্য বিষয়গুলি:

Hanging Body Wife Husband
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE