সমাগম: শেওড়াফুলির একটি পুজো মণ্ডপে ভিড় দর্শনার্থীদের। নিজস্ব চিত্র
লোকগাথা আর বিশ্বাসে ভর করে দেবদেবীর থানে ভক্তের আরাধনা বাঙালির পরম্পরা। এমন বিশ্বাসেই কোনও কোনও জায়গায় কালী ভক্তদের কাছে দেবী হয়ে ওঠেন জাগ্রত। এ ভাবেই বিখ্যাত হয়ে ওঠে বিভিন্ন কালীমন্দির থেকে বারোয়ারি পুজো। হুগলিতে এমন পুজোর সংখ্যা নেহাত কম নয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আকাশের মুখ ভার ছিল। বৃষ্টিও হয়েছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ঢল নামে মানুষের। সন্ধ্যার পর অনেক জায়গায় তিল ধারণের জায়গা ছিল না।
বাঁশবেড়িয়ার হংসেশ্বরী মন্দিরের নির্মানশৈলী এবং দেবীর টানে বছরভর মানুষ আসেন। বাঁশবেড়িয়া রাজবংশের ইতিহাস এই পুজোর সঙ্গে জড়িত। এ দিন সকাল থেকেই দেবীর পুজো শুরু হয়। বহু মানুষের সমাগম হয়। শেওড়াফুলি স্টেশনের কাছেই রয়েছে নিস্তারিণী কালীবাড়ি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এখানেও ভক্তদের ঢল নেমেছিল। সারা বছরই মনস্কামনা পূরণের জন্য এই মন্দিরে ভক্তরা আসেন।
পাণ্ডুয়ার সিমলাগড় কালীমন্দির, মহানাদের ব্রহ্মময়ী কালীমন্দিরে, কোন্নগরের শকুন্তলা কালীমন্দিরেও মহা সমারোহে দেবীর পুজো হয়।
তিল ধারণের জায়গা ছিল না শ্রীরামপুরের বল্লভপুরে সর্বজনীন শ্মশানকালীর পুজোতেও। পুজোটি এ বার ১৬৮ বছরে পড়েছে। পুজো প্রাঙ্গনের পাশাপাশি আশপাশের রাস্তা আলোয় সাজানো হয়েছে। উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছিল বুধবার সন্ধ্যা থেকেই। সঙ্গীত, নৃত্য-সহ নানা অনুষ্ঠান হয়। বৃহস্পতিবার অসংখ্য মানুষ দেবীর পুজো দেখতে আসেন। প্রাচীন এই সব পুজোর পাশাপাশি জেলার সর্বত্রই পুরনো আচার মেনে বহু গৃহস্থ বাড়িতে কালীর আরাধনা চলছে। শ্রীরামপুরের কেএম শা স্ট্রিটে শা বাড়ির শতাধিক বছরের পুরনো পুজো উপলক্ষে এ দিন অনুষ্ঠান হয়। সাবেক রীতি মেনে পুজো চলে। বেনিয়াপাড়া লাহিড়ীবাড়ির প্রায় আড়াই শতকের প্রাচীন পুজোও প্রথা মেনে হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy