এমন সেতু দিয়েই নিত্য যাতায়াত। নিজস্ব চিত্র।
মাঝেরহাট কাণ্ডের পর আজ, শুক্রবার থেকে আরামবাগের পল্লিশ্রী সংলগ্ন দ্বারকেশ্বরের উপর রামকৃষ্ণ সেতুকে মালবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধের বিজ্ঞপ্তি দিলেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা। বুধবার মহকুমা পূর্ত দফতরের তরফে ভগ্নদশা সেতুর কথা জানিয়ে তা মেরামতের জন্য মালবাহী গাড়ি যাতায়াত বন্ধের বিজ্ঞপ্তি জারি করার সুপারিশ করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলেই আসে নির্দেশ।
বৃহস্পতিবার সকালেই রাজ্য পূর্ত দফতরের সমীক্ষা বিভাগের ৬ জন বাস্তকারের দল রামকৃষ্ণ সেতুটির গায়েই নতুন বিকল্প সেতুর জরিপের কাজ শুরু দেন। এ দিন ওই সমীক্ষা দলের বাস্তুকাররা খতিয়ে দেখলেন, কোথায় নতুন সেতুটি নির্মাণ করলে সংযোগকারী রাস্তা নিয়ে সমস্যা থাকবে না। সম্ভাব্য পিলার তৈরির জায়গাগুলো চিহ্নিত করা হল। পূর্ত দফতরের মহকুমা আধিকারিক নিরঞ্জন ভড় বলেন, “পুরনো সেতুটি নিরাপদ নয়। নতুন বিকল্প সেতু প্রয়োজন ছিল। পুরনো সেতুর গায়েই পূর্ত দফতরের আরও ৩০০ ফুট জায়গাও আছে। সেই সমীক্ষাও শুরু হয়ে গেল। সপ্তাহ দেড়েকের মধ্যেই তা শেষ করা হবে।”
আরামবাগে দ্বারকেশ্বরের নদীর উপর নড়বড়ে রামকৃষ্ণ সেতুর পাশে বিকল্প সেতুর দাবি ছিল গত বছর চারেক ধরেই। গোঘাট এবং আরামবাগের বিধায়ক মানস মজুমদার এবং কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা ২০১৭ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী এবং পূর্ত দফতরে বিষয়টি নিয়ে দরবার করেন। অন্য দিকে প্রায় ৫৩ বছরের পুরনো সেতুটির ভারবহন ক্ষমতা নিয়ে মহকুমা পূর্ত দফতর থেকেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।
গত ১৩ জুলাই প্রথমবার রাজ্য পূর্ত দফতর থেকে চিঠি পাঠিয়ে জানতে চাওয়া হয় সেতুটি নির্মাণকাল কবে, সেতুর দু’পাশে বিকল্প সেতু করার জায়গা আছে কি না, সেতুরটির মাপ এবং সেতুর বর্তমান অবস্থা। রিপোর্টও পাঠানোর পর গত ২৮ অগস্ট বিকল্প সেতুর প্রয়োজনীয়তা এবং সেতু নির্মাণের পরিকাঠামো আছে কি না তা খতিয়ে দেখে যান বিশেষজ্ঞ দল।
বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুর উড়ালপুলের অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শনে এল পূর্ত দফতর। দফতরের সহকারী নির্বাহী বাস্তুকার সুমিতকুমার দাস ওই উড়ালপুল ঘুরে দেখেন। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’’ পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের বক্তব্য, ওই উড়ালপুলের কাঠামো মজবুত রয়েছে। সামান্য কিছু সংস্কার করলেই হবে। উড়ালপুলের জীর্ণ রেলিং ভেঙে ফেলার কাজ বুধবার থেকে
শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy