স্টেশন থেকে মৈত্রীপথ ধরে জিটি রোডে ওঠার আগে পর্যন্ত রাস্তার দু’ধার যেন নরককুণ্ড!
চতুর্দিকে জঞ্জালের স্তূপ। উপছে পড়ছে নর্দমা। খাটালের গোবরে কোথাও আবার নর্দমা কার্যত বুজে যাওয়ার জোগাড়।
শুধু ওই এলাকাতেই নয়, শহরের আরও কয়েকটি জায়গায় সাফাই নিয়ে অভিযোগ রয়েছে সাধারণ মানুষের। ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার মরসুম সামনেই। অথচ, সাফাইয়ের এমন হাল নিয়ে কী করে মশা নিয়ন্ত্রণে পাশ করবে রিষড়া পুরসভা, সেই প্রশ্নই ঘুরে বেড়াচ্ছে নাগরিকদের মধ্যে।
পুর-কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছেন, ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে মশা নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালু হয়ে গিয়েছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার রিষড়া পুরসভাকে ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা দিয়েছে। পুরপ্রধান বিজয় মিশ্র বলেন, ‘‘গত বারের পরিস্থিতি আর যাতে না হয়, তা নিয়ে আমরা সজাগ। কয়েকটি ওয়ার্ডে তেল ছড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। শীঘ্রই সব জায়গায় চালু হবে। আপাতত প্রতিটি জায়গায় এক সপ্তাহ অন্তর তিন বার তেল ছড়ানো হবে।’’ প্রতিটি পুরসভাকেই জানুয়ারি মাস থেকে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া রোধে অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। গত বছর রিষড়া পুরসভার বিভিন্ন জায়গায় ডেঙ্গি হানা দিয়েছিল। সাফাই নিয়ে অসন্তুষ্ট সাধারণ মানুষ সরাসরি নালিশ জানিয়েছিলেন স্থানীয় সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। কেন সাফাই ঠিকঠাক হচ্ছে না, এই প্রশ্ন তুলে সাংসদ পুর-কাউন্সিলরদের ডেকে রীতিমতো তুলোধনা করেছিলেন। গত এক বছরে অবশ্য ওই পুরসভায় পুরপ্রধান এবং উপ-পুরপ্রধান পদে বদল হয়েছে। তবে, সাফাই নিয়ে এখনও পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন শহরবাসী। তা ছাড়া, মশা নিয়ন্ত্রণে অভিযানও সব জায়গায় শুরু হয়নি বলেও অভিযোগ।
পুর-কর্তৃপক্ষ দাবি করছেন, তাঁরা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। বর্ষায় যাতে জল না-জমে, সে জন্য শহর জুড়ে বড় নর্দমা পরিষ্কারের কাজ চলছে। চলতি মাসেই এই কাজ শেষ করা হবে। মশা নিয়ন্ত্রণ করতেও তৎপরতা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৮ থেকে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে মশার লার্ভা মারতে তেল ছড়ানো হয়েছে। পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি প্রচার শুরু করেছেন।
মৈত্রীপথ বা আরবিসি রোড-সহ কয়েকটি জায়গায় জঞ্জাল অপসারণের সমস্যার কথা পুর-কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, ওই সব জায়গায় বস্তিবাসীরা পুরনো টিন-লোহা, কাগজ, প্লাস্টিক-সহ বিভিন্ন জিনিস কেনাবেচার কাজ করেন। সেই সব জিনিস ডাঁই হয়ে থাকে। তাতে এলাকা অপরিষ্কার হয়। কী করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায় সে ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা চলছে বলে জানান পুর কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy