জলের নীচে রাস্তা। হরিপালে।
বৃষ্টি থেমে গিয়েছে। কিন্তু হুগলির হরিপাল এবং ধনেখালির কিছু জায়গায় খাল উপচে গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ডুবেছে কৃষিজমি। ঘরেও জল ঢুকেছে অনেকের।
হরিপালের দ্বারহাট্টা পঞ্চায়েতের কনকপুর, জগজীবনপুর, কৈকালা পঞ্চায়েতের কৃষ্ণবল্লভবাটি, নারায়ণপুর-বাহিরখণ্ড পঞ্চায়েতের চকডুমুর, মল্লিরপুর, সহদেব পঞ্চায়েতের কালুবাটি, খাঁজুরিয়া, রাধাকৃষ্ণপুর প্রভৃতি গ্রামে শুক্রবার থেকে জল ঢোকে। টানা বৃষ্টিতে ডাকাতিয়া খাল উপছে ওই পরিস্থিতি হয়। তার উপরে ডিভিসি জল ছাড়ায় পরিস্থিতি খারাপ হয়। কালুবাটি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল রহমান বলেন, ‘‘জল ঢুকে বহু জমিতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। ধানের বীজতলা নষ্ট হয়ে গিয়েছে।’’ একই বক্তব্য জগজীবনপুরের ষষ্ঠী রায়ের। কৃষ্ণবল্লভবাটি গ্রামের বাসিন্দা মুস্তাক আহমেদ বলেন, ‘‘শুধু কৃষিজমিই নয়, ঘরবাড়িতেও জল ঢুকেছে।’’ প্রশাসন সূত্রের খবর, কয়েকশো বিঘে জমিতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শনিবার সন্ধ্যায় গ্রামে যান হরিপালের বিডিও নির্মলকুমার দাস, জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ সমীরণ মিত্র এবং সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষরা। জেলার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের দুই প্রতিনিধিও সেখানে যান। শনিবার সন্ধ্যায় মল্লিকপুরে বাঁধের উপর দিয়ে জল বইছিল। প্রশাসনের তরফে বালির বস্তা ফেলে তা মেরামত করা হয়। সমীরণবাবু বলেন, ‘‘পরিস্থিতির দিকে প্রশাসন নজর রাখছে। রবিবার থেকে জল নামতে শুরু করেছে।’’
ধনেখালির বেলমুড়িতে জলমগ্ন গ্রাম।
বিডিও বলেন, ‘‘কয়েকটা জায়গায় জল দাঁড়িয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ধানের বীজতলার কিছু ক্ষতি হয়েছে। ডিভিসি আরও জল ছাড়লে সমস্যা হতে পারে। তবে, তেমন পরিস্থিতি হলে প্রশাসন তা মোকাবিলার জন্য তৈরি আছে।’’ রবিবারেও বিডিও গ্রামে যান। প্রশাসন সূত্রের খবর, জাঙ্গিপাড়ার কিছু জায়গায় ডাকাতিয়া খালের প্রবাহ আটকে অনেকে মাছ ধরেন। সে কারণে গ্রামে জল ঢোকে। এ বার যাতে তা নয়, তার জন্য প্রশাসন এবং পুলিশ তৎপর রয়েছে।
অন্য দিকে, ধনেখালি ব্লকের বেলমুড়ি পঞ্চায়েতের রাধাবল্লভপুর গ্রাম জলমগ্ন হয়েছে ঘিয়া খাল উপছে। নিকাশী ব্যবস্থা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, জল দাঁড়িয়ে চাষ নষ্ট হয়েছে। অনেক বাড়িতেও জল ঢুকেছে। গ্রামের নলকূপও প্রায় ডুবে গিয়েছে। জয়ন্ত কর, সুশান্ত কর, ঝণ্টু সাউ প্রমুখ জানান, বৃষ্টিতে তাঁদের ফসল নষ্ট হয়েছে।
—নিজস্ব চিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy