Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Chandannagar

শোভাযাত্রা না হলেও বিসর্জনে চন্দননগরে বন্ধ থাকছে বিদ্যুৎ পরিষেবা

চন্দননগরের ৬টি এবং ভদ্রেশ্বরের ৫টি ঘাটে ২ দিন ধরে ১৭১টি প্রতিমা বিসর্জন হবে। গঙ্গার ঘাটে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট রুট করে দেওয়া হয়েছে। আর সেই রুটে প্রয়োজন মতো কয়েকটি জায়গায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হবে।

শোভাযাত্রা না হলেও বন্ধ থাকবে বিদ্যুৎ পরিষেবা। ফাইল চিত্র।

শোভাযাত্রা না হলেও বন্ধ থাকবে বিদ্যুৎ পরিষেবা। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চন্দননগর শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২০ ০০:০৬
Share: Save:

শোভাযাত্রা বন্ধ, তবুও ২ দিন সকাল থেকে রাত বিদ্যুৎহীন থাকতে হবে চন্দননগরবাসীকে। করোনার কারণে এ বছর জগদ্ধাত্রী পুজোয় কোনও শোভাযাত্রা করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিল প্রশাসন। অন্যান্য বার প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রার কারণে গোটা শহর জুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। কিন্তু শোভাযাত্রা না হওয়া সত্ত্বেও প্রতিবারে মতো এবারও বিদ্যুৎহীন থাকবে শহর।

চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী ঠাকুরের উচ্চতাই হয় ২০-২৫ ফুট করে। সেগুলি বড় বড় ট্রাকে তুলে শোভাযাত্রা সহকারে গঙ্গার ঘাটে বিসর্জন দিয়ে যাওয়ার হয়। বিসর্জনের সময় যাতে বিদ্যুতের ওভার হেড তারে প্রতিমার কোনও অংশ ঠেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়।

চন্দননগরে লক্ষ্মীগঞ্জ বিবিরহাট ১ ও ২ এবং বড়বাজার এই ৪টি জায়গার ফিডার থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এবারও প্রয়োজন মত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রাখা হবে বলে জানান চন্দননগর পুলিশের ডিসি তথাগত বসু। তিনি বলেন, “জ্যোতির মোড়, ছবিঘর মোড়, গঞ্জের বাজারের মতো জায়গায় যেখান দিয়ে প্রতিমা গঙ্গার ঘাটের দিকে ঢুকবে সেখানে বন্ধ থাকবে বিদ্যুৎ সংযোগ।” চন্দননগরের ৬টি এবং ভদ্রেশ্বরের ৫টি ঘাটে ২ দিন ধরে ১৭১টি প্রতিমা বিসর্জন হবে। গঙ্গার ঘাটে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট রুট করে দেওয়া হয়েছে। আর সেই রুটে প্রয়োজন মতো কয়েকটি জায়গায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হবে।

চন্দননগর পুর নিগমের কমিশনার স্বপন কুণ্ডু জানিয়েছেন, রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের সঙ্গে তাঁদের যে বৈঠক হয়েছে তাতে পর্ষদ জানিয়েছে ৭৮টি জায়গা থেকে প্রথম দিন প্রতিমা বেরোবে। সে সব জায়গায় বিদ্যুৎ সাময়িক বন্ধ রাখা হবে। প্রতিমা চলে যাওয়ার পরে তা আবার চালু করা হবে। স্বপন জানিয়েছেন, আগে চন্দননগরের বিসর্জন মানেই জলের সমস্যা দেখা দিত। এখন পুর নিগম জলের প্ল্যান্ট তৈরি করায় বিদ্যুৎ না থাকলেও শহরের ৩০ শতাংশ মানুষকে জল দেওয়া যাবে।

চন্দননগরে বিসর্জনের সময় এই বিদ্যুতের সমস্যার মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। মাটির তলায় কেবল দিয়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু করেছে পর্ষদ। এখনও সব জায়গায় সেই পরিষেবা চালু হয়নি। ততদিন পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ সংযোগ ছাড়াই ২ দিন থাকতে হবে চন্দননগরবাসীকে।

অন্য বিষয়গুলি:

Chandannagar Jagaddhatri Puja
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy