প্রতীকী ছবি
আলোচনায় মিটল সমস্যা। চুক্তি অনুযায়ী শ্রমিকদের বোনাস দিতে রাজি হলেন শ্রীরামপুরের বাঙ্গিহাটির ‘মাল্টি সার্ভে রোলস প্রাইভেট লিমিটেড’ কারখানা কর্তৃপক্ষ। রবিবার তার আগে শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে দেওয়ায় লোহার যন্ত্রাংশ তৈরির ওই কারখানায় অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল।
ওই কারখানায় শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের বক্তব্য, চুক্তি অনুযায়ী যে বোনাস তাঁদের প্রাপ্য, আমপানে ক্ষতি এবং কোভিড পরিস্থিতিতে লোকসানের কথা বলে কর্তৃপক্ষ তার অনেক কম টাকা দিতে চেয়েছিলেন। এতে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়ায়। আইএনটিটিইউসি এবং সিটু-র তরফে কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি নিয়ে চিঠি দেওয়া হয়। শনিবার কারখানার গেটের সামনে বিক্ষোভ-সভা করে আইএনটিটিইউসি।
রবিবার সকালে শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে কারখানার ভিতরে বিক্ষোভ শুরু করেন। অন্য কর্মীরাও শামিল হন। ফলে, উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ এসে শ্রমিকদের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করে। তাতে লাভ হয়নি। পরে মালিক সন্দীপ পোদ্দার কারখানায় এসে আইএনটিটিইউসি, সিটু এবং বিএমএসের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনায় বসেন।
কারখানা সূত্রের খবর, বোনাসের অঙ্ক নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কার্যত দর-কষাকষি হয়। শ্রমিক নেতাদের বক্তব্য, চুক্তি অনুযায়ী যেখানে প্রায় ১৭ হাজার টাকা বোনাস দেওয়ার কথা, সেখানে মালিকপক্ষ তার অর্ধেকেরও কম দিতে চেয়েছিলেন। বৈঠকে বসেও মালিকপক্ষ চেয়েছিলেন, শ্রম দফতরে বিষয়টির মীমাংসা করতে। শ্রমিক-নেতারা রাজি হননি। তাঁরা জানান, ফয়সালা না-হওয়া পর্যন্ত শ্রমিকেরা কাজ করবেন না। শেষে চুক্তি মোতাবেক বোনাস দিতে সম্মত হন সন্দীপবাবু। শ্রমিকেরা কাজে
যোগ দেন।
কারখানার আইএনটিটিইউসি সভাপতি অন্বয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শ্রমিকদের বেতন আহামরি কিছু নয়। উৎসবের সময় বোনাসের টাকাটা ওঁদের কাছে জরুরি। কারখানা-মালিক চুক্তিকে মান্যতা দেওয়ায় ধন্যবাদ।’’ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে ‘শ্রমিক আন্দোলনের জয়’ হিসেবে তিনি দেখছেন। সন্দীপবাবুর অবশ্য বক্তব্য, ‘‘লকডাউনে তিন মাস কারখানা বন্ধ ছিল। আমপানে শেডের ক্ষতি হয়েছে। উৎপাদন ব্যাপক ধাক্কা খেয়েছে। প্রচুর লোকসান হয়েছে। কিন্তু শ্রমিকপক্ষ পরিস্থিতির কথা বুঝতে চান না।’’ তাঁর ক্ষোভ, ‘‘চুক্তিতে রয়েছে, কোনও বিষয়ে দ্বিমত থাকলে শ্রম দফতরে আলোচনা করা যাবে। ওঁরা তাতেও অরাজি। কাজ বন্ধের হুমকি দিলেন। বাধ্য হয়েই চুক্তির অঙ্কের বোনাসে সম্মত হতে হল।’’
এ ব্যাপারে এক শ্রমিক-নেতার কথায়, ‘‘মালিক বেশি লাভ করলে কি চুক্তির বাইরে গিয়ে বেশি টাকা দেন? অথচ সমস্যা হলেই শ্রমিকের পাওনায় কোপ বসাতে চান।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy