প্রতীকী ছবি।
রাজ্য সরকারের নির্দেশমতো ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে নদীবাঁধ মেরামতি শুরু হয়েছে হাওড়া জেলায়।
সেচ দফতরের (নিম্ন দামোদর নির্মাণভুক্তি-১ এবং ২) ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, তাঁরা কোন কোন জায়গায় বাঁধ মেরামতি করা দরকার সেটা দেখিয়ে দিয়েছেন। ব্লকগুলি সেই কাজ করছে।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, করোনা আবহে গ্রামে কাজে মন্দা দেখা দিয়েছে। গ্রামবাসীদের রোজগার বাড়াতে একশো দিনের কাজ প্রকল্পকে হাতিয়ার করেছে রাজ্য সরকার।
নতুন নতুন কাজের ক্ষেত্রে খোঁজা হচ্ছে। সেই পরিকল্পনা মোতাবেকই নদীবাঁধ মেরামতির কিছু ওই প্রকল্পে করা হচ্ছে। এর আগেও নদীবাঁধ মেরামতির কাজ হয়েছে ওই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে। সেগুলিতে খরচ করত সেচ দফতরই। একশো দিনের কাজের প্রকল্পের নিয়ম মেনে জবকার্ডধারীদের কাজে লাগানো হত। জবকার্ডধারীদের মজুরিও দিত সেচ দফতর। কিন্তু এ বারে কাজের পরিকল্পনা থেকে শুরু করে কাজটি করানো, টাকা খরচ— সবই জেলা প্রশাসনের তরফে ব্লকের মাধ্যমে হচ্ছে।
ওই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জেলা সেল সূত্রের খবর, উলুবেড়িয়া-২, আমতা-১ এবং ২— এই তিন ব্লকেই মূলত নদীবাঁধের ফাটল মেরামত হচ্ছে। মোট ৪১টি জায়গাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন ও সেচ দফতর সূত্রের খবর, একশো দিনের কাজের প্রকল্পে বাঁধ মেরামতি হলে শুধু যে অনেকে কাজ পাবেন তা নয়, পুরোদস্তুর বর্ষার মরসুম শুরুর আগে অনেক উপকারও হবে। লকডাউনের জন্য এ বারে নদীবাঁধ সংস্কারের কাজ বেশ ব্যাহত হয়। এ বার এই ঘাটতি কিছুটা পূরণ হবে বলে জেলা প্রশাসনের কর্তারা দাবি করেন।
বেশিরভাগ কাজ হচ্ছে আমতা-২ ব্লকে। রামপুর খাল, শর্টকাট চ্যানেলের বাঁধের ফাটলে এই প্রকল্পের মাধ্যমে মাটি ফেলা হচ্ছে। আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত পাল বলেন, ‘‘প্রায় ৪০০ জন জবকার্ডধারী কাজ করছেন। বর্ষা পড়ার আগে পর্যন্ত এই কাজ চলবে। আরও জবকার্ডধারীকে নিয়োগ করা হবে।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy