‘অধিগ্রহণ’-এর পোস্টার। — তাপস ঘোষ।
জমি পুরসভার। শুধু তাই নয়, পুরসভা থেকে যাবতীয় সুযোগ সুবিধা পেত শিশু বিজ্ঞানকেন্দ্র। কিন্তু সেখান থেকে আয়ের টাকা মিলছিল না বলে অভিযোগ বর্তমান পুরকর্তাদের। তাই ওই কেন্দ্র মঙ্গলবার ‘দখল’ করে নিল হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভা। যদিও পুর কর্তৃপক্ষ একে অধিগ্রহণ হিসেবে দাবি করেছে। এই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা গ্রন্থাগার তৈরির জন্য ১৯৫৬ সালে পুরসভার তরফে জমি দেওয়া হয় জেলা লাইব্রেরি অ্যাসোসিয়েশানকে। ১৯৯৯ সালের মার্চ মাসে গ্রন্থাগারের পাশের জায়গায় পুরসভারই জমিতে গড়ে ওঠে শিশুবিজ্ঞান কেন্দ্রটি। ওই কেন্দ্র চালানোর প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ রূপচাঁদ পাল-সহ ৯ সদস্যের একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়। রূপচাঁদবাবুই ভাইস প্রেসিডেন্ট। এ দিন চুঁচুড়ার হাসপাতাল রোডের শিশু বিজ্ঞানকেন্দ্রটি ‘অধিগ্রহণ’ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন পুরপ্রধান-সহ সমস্ত জনপ্রতিনিধি এবং পুলিশ।
পুরসভার অভিযোগ, এই ট্রাস্টি বোর্ডের উদ্যোগে পুরসভার জমিতে বেআইনিভাবে জেলা গ্রন্থাগারের পাশে শিশুবিজ্ঞান কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়। পুরপ্রধান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ট্রাস্টি বোর্ডের উদ্যোগে পুরসভার জমিতেই শিশুবিজ্ঞান কেন্দ্র গড়ে তুলে বেআইনিভাবে আয় করতে থাকে। দীর্ঘদিন ধরেই জানানো সত্ত্বেও কোনও কর্ণপাত করা হচ্ছিল না। তাই এ দিন পুরসভার পক্ষ থেকে ভবনটি অধিগ্রহণ করা হয়।’’
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে রূপচাঁদবাবু বলেন, ‘‘পুরসভা বেআইনিভাবে অধিগ্রহণ করেছে। আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy