প্রহৃত: তারামণি মজুমদার
তিনি পেশায় পুলিশ কনস্টেবল। চন্দননগর থানায় কর্মরত। পাড়ায় অকারণে তা জাহির করতেন বলে অভিযোগও ছিল। এ বার বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে পড়শির পরিচারিকার মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল চন্দননগরের হরিদ্রাডাঙার বাসিন্দা, নিকিতা শেঠ নামে ওই পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার সকালে তারামণি মজুমদার নামে আক্রান্ত ওই পরিচারিকা রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন। কিন্তু তাঁকে যাতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া না-হয়, সে জন্য পাড়া-পড়শিদের নিকিতা হুমকিও দেন বলে অভিযোগ। জ্ঞান ফিরলে তারামণি নিজেই টোটো ধরে চন্দননগর হাসপাতালে যান। তাঁকে ভর্তি হতে হয়। মাথায় পাঁচটি সেলাই পড়ে।
কিন্তু কেন মারধর করা হল তারামণিকে? মহিলা নিজেই অন্ধকারে। তারামণি বলেন, ‘‘ওই পুলিশকর্মী আমাকে সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু কেন, জানি না। আমাকে কাজ থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করছিলেন। সে জন্যই বোধহয় আমাকে মারধর করলেন। এর পিছনে নিশ্চয়ই কোনও অসৎ উদ্দেশ্য রয়েছে।’’ অভিযুক্ত নিকিতা এ ব্যাপারে কোনও কথা বলতে রাজি হননি। তবে, চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অজয় কুমার জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে ওই মহিলা কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্য চল্লিশের তারামণি হুগলির ১ নম্বর কৃষ্ণপুরের বাসিন্দা। এক বছর ধরে তিনি হরিদ্রাডাঙার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী বিমল মুখোপাধ্যায় বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। বিমলবাবু একাই থাকেন। তিনি অসুস্থ। তারামণি ওই বাড়িতে কাজ শুরু করার পর থেকেই নিকিতা নানা ভাবে হুমকি দিতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। নিকিতার সঙ্গে তারামণির একাধিকবার বচসাও হয়েছে। শুক্রবার সকালে তারামণি কাজে আসতেই নিকিতা ফের তাঁর উপরে হম্বিতম্বি শুরু করেন বলে অভিযোগ। তার পরেই ওই ঘটনা।
এলাকার লোকজনও ওই দু’জনের বিবাদের কারণ নিয়ে অন্ধকারে। তবে, তাঁরা নিকিতার বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও তুলেছেন। চন্দননগর থানার পুলিশের একাংশেরও একই অভিযোগ রয়েছে। বিমলবাবু বলেন, ‘‘আমি এতটাই অসুস্থ যে কেউ সাহায্য না করলে কিছু করতে পারি না। তারামণির সঙ্গে প্রতিবেশীর যে কী হল, বুঝতে পারছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy