বাঘরোল।
বাঘরোল উদ্ধার করে বন দফতরের হাতে তুলে দিলেন জাঙ্গিপাড়ার বাসিন্দারা। পূর্ণবয়স্ক বাঘরোলটিকে বনে ছাড়া হবে বলে দফতরের কর্তারা আশ্বাস দিয়েছেন।
পুলিশ ও বন দফতর সূত্রের খবর, শুক্রবার জাঙ্গিপাড়ার নিলারপুর গ্রামে কয়েক জন আদিবাসীর হাতে পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী-বাঘরোলটি ধরা পড়ে। সেটিকে খাঁচায় বন্দি করে গ্রামবাসীরাই পুলিশকে খবর দেন। দুপুরে পুলিশ এবং বন দফতরের আধিকারিকরা সেখান থেকে প্রাণীটিকে উদ্ধার করে আনেন। সেটিকে চণ্ডীতলা ২ বিট অফিসে রাখা হয়েছে।
বন দফতরের হুগলির রেঞ্জ অফিসার রবীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বাঘরোলটির বয়স প্রায় ৪ বছর। শরীরে আঘাতের চিহ্ন নেই।
হুগলি জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘শেয়াল, কটাস হোক বা বাঘরোল— এই ধরনের প্রাণীকে মারা যে আইনত দণ্ডনীয়, গ্রামবাসীদের তা বুঝিয়ে বলা হয়েছে। এমন কিছু ঘটলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
পরিবেশ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঘরোল বা ‘ফিশিং ক্যাট’ মেছো বেড়াল নামে পরিচিত। এটি পশ্চিমবঙ্গের ‘স্টেট অ্যানিম্যাল’ বা ‘রাজ্য প্রাণী’। এরা লম্বায় সাধারণ বেড়ালের থেকে প্রায় তিনগুণ। চেহারা এবং ক্ষিপ্রতা দেখে অনেকে একে চিতাবাঘ বলে ভুল করেন। বাঘরোল জলাজমি সংলগ্ন জায়গায় থাকে। পরিবেশপ্রেমীদের অভিযোগ, জলাভূমি বুজে যাওয়া এবং ঝোপ কেটে ফেলায় এরা বাসস্থান হারাচ্ছে। খাদ্য সঙ্কটের জেরেই ক্রমশ বিপন্ন হয়ে যাচ্ছে বাঘরোল।
জীব বৈচিত্র পর্ষদ সূত্রের খবর, বাঘরোল খাদ্য শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে এদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ব্লক
বায়ো-ডাইভার্সিটি ম্যানেজমেন্টের হুগলি জেলার কো-অর্ডিনেটর মানিক পাল বলেন, ‘‘পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অন্যান্য প্রাণীর মতো বাঘরোলের ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুশকিল হল, হুগলি এবং হাওড়ার কয়েকটি জায়গা ছাড়া বাঘরোল কার্যত অবলুপ্ত।’’
তিনি জানান, হুগলির ৬টি ব্লকে বাঘরোল নিয়ে সুমারি চলছে। বাঘরোল সংরক্ষণ করে অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়ার ভাবনা থেকেই এই উদ্যোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy