বৃহস্পতিবার তখনও বেঁচে চাঁদু সর্দার। নিজস্ব চিত্র
কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল তিন। শুক্রবার সকালে মারা গেলেন অগ্নিদগ্ধ পুলিশকর্মীও। বুধবার শেষ রাতে দুর্ঘটনার পরেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাওড়া হাসপাতালে। তার পরে সেখান থেকে ‘গ্রিন করিডর’ করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এ দিন সেখানেই মারা যান কোনা ট্র্যাফিক গার্ডের কর্মী চাঁদু সর্দার (৫২)।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিনই বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিয়ে পুড়ে যাওয়া সিসি ক্যামেরার ফুটেজ উদ্ধার করা গিয়েছে। পুলিশের দাবি, ওই ফুটেজে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, গ্যাস ট্যাঙ্কারটি রাস্তার বাঁ দিক ছেড়ে ডান দিকে সরতে যাওয়ার ফলেই ট্রেলারের সঙ্গে সেটির ধাক্কা লাগে। তার পরেই ঘটে বিস্ফোরণ।
বুধবার রাত সাড়ে তিনটের সময়ে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের গরফা সেতুর কাছে ওই দুর্ঘটনার জেরে গ্যাস ট্যাঙ্কারটি ফেটে গিয়ে দু’টি গাড়িতেই আগুন ধরে যায়। বাইরে বেরোতে না পেরে স্টিয়ারিংয়ে বসেই অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান দু’টি গাড়ির চালক। দুর্ঘটনাস্থলের পাশে একটি চায়ের দোকানের চালার নীচে বসে ছিলেন চাঁদু। মারাত্মক ভাবে অগ্নিদগ্ধ হন তিনি। ভস্মীভূত হয়ে যায় চায়ের দোকানটি।
আগুনের তাপে একাধিক সিসি ক্যামেরা ও কেব্ল পুড়ে যাওয়ায় ঠিক কী ভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল, বৃহস্পতিবার তা জানা যায়নি। যে হার্ড ডিস্কে ওই রেকর্ডিং সেভ হয়েছিল, এ দিন তা থেকে ওই সময়ের ফুটেজ উদ্ধার করেন কম্পিউটার বিশেষজ্ঞেরা। হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ওই ফুটেজ থেকে এটা পরিষ্কার হয়েছে যে, কলকাতার দিক থেকে আসা ১৪ চাকার ট্রেলারটি ঠিক লেন দিয়ে এলেও নিবড়ার দিক থেকে আসা ট্যাঙ্কারটি আচমকাই রাস্তার ডান দিকে চলে আসায় ওই সংঘর্ষ হয়।’’
ওই পুলিশকর্তার বক্তব্য, যে জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে রাস্তা অনেকটাই সরু। এর আগেও ওই জায়গায় একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে কোনও ডিভাইডার না থাকায়। তাই ওই জায়গায় ‘স্প্রিং পোস্ট ডিভাইডার’ বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে, যাতে গরফা সেতু থেকে নেমে যানবাহনগুলি নির্দিষ্ট লেন দিয়ে আসতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy