—প্রতীকী ছবি।
শিশুকে যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত গোঘাটের কামারপুকুর এলাকার এক বালকের বিচার চলছে জুভেনাইল আদালতে। পড়শিরা প্রায় দেড় মাস ধরে বালকটির পরিবারের লোকজনকে বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। বালকটি বারবার একই অপরাধ করছে, এমনই অভিযোগ তাঁদের। বাড়িতে ঢুকতে চেয়ে পুলিশ, প্রশাসন এবং রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারস্থ হয়েছেন বালকটির পরিবার। রবিবার পর্যন্ত তাঁরা বাড়িতে ঢুকতে পারেননি।
বালকটির এক বছরের একটি বোন আছে। তাকে নিয়ে বাবা-মা এই শীতে কখনও কালীমন্দিরে রাত কাটাচ্ছেন, কখনও বাজারের ছাউনিতে কিংবা প্রতীক্ষালয়ে। বালকটির বাবা বলেন, ‘‘আমাদের অবস্থার কথা নানা জায়গায় জানিয়েছি। এখনও কোনও সুরাহা হল না। ছন্নছাড়া ভাবে থাকায় নিয়মিত কাজেও যেতে পারছি না।’’
পুলিশ জানায়, ওই পরিবারটির যাতে বাড়িতে থাকতে অসুবিধা না হয়, তা নিয়ে পড়শিদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। বিষয়টা স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং জনপ্রতিনিধিদেরও বলা হয়েছে। কামারপকুর পঞ্চায়েতের প্রধান তথা গোঘাট-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি তপন মণ্ডল বলেন, “বালকটির বাবা-মা বিষয়টির মীমাংসা চেয়ে প্রায়ই আসছেন। তাঁদের অন্যায় ভাবে বাড়ি ঢুকতে বাধা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলোচনা করছি। পাড়াটি এখনও অশান্ত আছে। তাই কিছুটা সময় নিচ্ছি।”
গোঘাটের বিধায়ক মানস মজুমদার বলেন, “ওঁরা আমার কাছেও অভিযোগ করেছেন। ওঁদের প্রতিবেশীদের অন্যায় দাবি মানা হবে না। বলে দেওয়া হয়েছে ওদের বাড়িতে ঢুকতে কোনও রকম বাধা দেওয়া যাবে না।”
এলাকার পাঁচ বছরের একটি শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গত ৩০ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় বছর তেরোর ওই বালককে। দিন কুড়ি উত্তরপাড়ার একটি হোমে থাকার পর সে এখন জামিনে মুক্ত। তার বাবা বলেন, ‘‘ছেলে দোষ করে থাকলে আইনে সাজা পাবে।
আমরা তো কোনও দোষ করিনি। আমাদের কেন বাড়িতে থাকতে দেওয়া হবে না? ছেলে এক আত্মীয়ের বাড়িতে রয়েছে। মেয়েটা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বাড়িতে তালা মেরে দিয়েছেন প্রতিবেশীরা। শৌচাগারও ভেঙে দেওয়া হয়েছে।’’
প্রতিবেশীদের পক্ষে বেলা রায়, স্বপন মণ্ডল, ঝুমা রায়, মায়া মণ্ডল প্রমুখের অভিযোগ, বালকটি এই নিয়ে তিনবার তিন নাবালিকার যৌন হেনস্থা করেছে। তার বাবারও অপকীর্তির শেষ নেই। পাড়াগত ভাবেই পরিবারটিকে থাকতে না-দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও তাঁরা জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy