বেহাল: খানাখন্দে ভরা আরামবাগ-চাঁপাডাঙার রাস্তা। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ
চার লেনে সম্প্রসারিত হচ্ছে আরামবাগ-তারকেশ্বর রোডের ২০ কিলোমিটার (আরামবাগ থেকে চাঁপাডাঙা)। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কাজ শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সড়ক উন্নয়ন নিগম। সময়সীমা আড়াই বছর। এর মধ্যে কি ওই রাস্তার খানাখন্দ মেরামত হবে না? প্রশ্ন তুলছেন বাস-চালকেরা। কারণ, ওই রাস্তায় যাত্রীর চাপ রয়েছে।
অবিলম্বে রাস্তাটির খানাখন্দ সংস্কারের দাবিতে বাস-মালিকেরা সংশ্লিষ্ট দফতরে ক্ষোভ-বিক্ষোভ জানিয়েছেন। হুগলি জেলা দূরপাল্লার বাস-মালিক সংগঠনের সম্পাদক গৌতম ধোলের অভিযোগ, “রাস্তাটি বর্তমানে বাস চলাচলের অযোগ্য। খানাখন্দ সংস্কার হচ্ছে না। যাত্রীদের চাপে ঠিক সময়ে পৌঁছতে গিয়ে প্রতিদিন বাসের যন্ত্রাংশ ভাঙছে।’’
রাজ্য সড়ক উন্নয়ন নিগমের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তুলে লোকাল বাস-মালিক সংগঠনগুলির পক্ষে মুন্সি মহম্মদ মুসা বলেন, “আরামবাগের দিক থেকে জয়রামপুর পর্যন্ত মাত্র ৪ কিলোমিটার রাস্তা ভাল। বাকি ১৬ কিলোমিটারের বহু জায়গাই খারাপ। আরামবাগ থেকে চাঁপাডাঙা যেতে এক ঘণ্টার বদলে দেড় ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে।”
গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির অনেক জায়গাই খারাপ থাকার কথা মেনে নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সড়ক উন্নয়ন নিগমের আরামবাগ-চাঁপাডাঙা রাস্তার প্রজেক্ট ম্যানেজার দেবাশিস মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “রাস্তা নিয়ে উদাসীনতার প্রশ্ন নেই। রাস্তার ভাঙা অংশগুলো চিহ্নিত হয়েছে। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেই সমস্ত জায়গা মেরামত করে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে চার লেনের কাজও ঠিক সময়ে শেষ করা হবে।”
ওই রাস্তা দিয়ে শুধু তারকেশ্বর নয়, আরামবাগ থেকে হাওড়া বা কলকাতাও যাওয়া যায়। রাস্তাটি দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বর্ধমান জেলার একাংশ এবং ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগেরও অন্যতম মাধ্যম। বর্তমানে আরামবাগ থেকে চাঁপাডাঙা পর্যন্ত রাস্তাটি ২৩ ফুট চওড়া। সেটি চার লেনে মোট ১৩৫ ফুট চওড়া করার কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্পটির জন্য অনুমোদন হয় প্রায় ৪২৭ কোটি টাকা। মহকুমা পূর্ত দফতরের হিসাবে, ওই রাস্তায় প্রতিদিন বিভিন্ন রুটের বাস ছাড়াও প্রায় ১৮-২০ হাজার পণ্যবাহী ট্রাক চলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy