হাওড়া কোর্টের বাইরে এমপিএসের এজেন্ট ও বিনিয়োগকারীদের উপরে হামলা। বুধবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
আমানতের টাকা ফেরত পাননি। তাই আদালত-চত্বরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন জনা পঞ্চাশ পুরুষ ও মহিলা। আচমকাই তাঁদের দিকে তেড়ে গেল মারমুখী এক দল লোক। বিক্ষোভ বন্ধ করতে কিল-চড়-লাথি-ঘুষি চলতে লাগল বৃষ্টির মতো। রেহাই পেলেন না মহিলারাও।
বুধবার বিকেলের ঘটনা। ঘটনাস্থল হাওড়ার মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত-চত্বর। ব্যাঁটরা থানার একটি মামলায় হাজির করানো হয়েছিল লগ্নি সংস্থা ‘এমপিএস’-এর কর্ণধার প্রমথনাথ মান্নাকে। তার আগেই বিক্ষোভ শুরু করেন সংস্থার লগ্নিকারী ও এজেন্টরা। তাঁদের পেটায় দুষ্কৃতীরা। হামলাকারীদের বক্তব্য, প্রমথবাবুকে অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ এসে তাদের হটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আদালতের খবর, প্রমথবাবুকে ১২ দিন পুলিশি হাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। তার পরে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় তাঁকে আদালত থেকে বার করে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, টাকা ফেরত না-পেয়ে প্রমথবাবুর বিরুদ্ধে দু’জন লগ্নিকারী অভিযোগ করেন ব্যাঁটরা থানায়। জেরার জন্য অভিযুক্তকে পুলিশি হাজতে পেতে চেয়েছিলেন তদন্তকারী অফিসার। এ দিন বাঁকুড়ার জেল থেকে প্রমথবাবুকে আনা হয় হাওড়া আদালতে। তাঁর সংস্থার আমানতকারী ও এজেন্টদের একাংশ আদালতে জড়ো হন। টাকা ফেরতের দাবিতে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের মধ্যে অনেক মহিলাও ছিলেন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে লগ্নিকারীরা টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। অথচ সংস্থার বিভিন্ন কার্যালয় খোলা রেখে কিছু লোক এখনও টাকা তুলে চলেছে।
লগ্নিকারী-এজেন্টদের বিক্ষোভের মধ্যেই আদালতের পূর্ব দিকের গেট দিয়ে এক দল হামলাকারী তাঁদের দিকে তেড়ে যায়। তারা নিজেদের এমপিএসের এজেন্ট বলে দাবি করে লগ্নিকারীদের পেটায়। সাধনা ঘোষ নামে এক লগ্নিকারী অভিযোগ করেন, “আমার ও আমার স্বামীর সারা জীবনের সঞ্চয়ের টাকা রেখেছিলাম এমপিএসে। ছ’মাস ধরে টাকা ফেরত পাচ্ছি না।” একই অভিযোগ শ্রাবণী রক্ষিত, সুমন্ত দেবনাথদের। লগ্নিকারী ও এজেন্টদের অভিযোগ, হামলা করেছে ওই সংস্থার ভাড়া করা গুন্ডারা। বিক্ষোভ বানচাল করার জন্যই তাদের পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ওই হামলার ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। হামলাকারীদের খোঁজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy