Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ, বিধায়কের উদ্যোগে বিক্ষোভ

বালি খাদানের দখল নিয়ে আরামবাগের পূর্ব কৃষ্ণপুর গ্রামে রাজনৈতিক হানাহানিতে অভিযুক্ত জয়নাল খাঁ ও তাঁর তিন অনুগামীকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে থানায় বিক্ষোভ হল পুরশুড়ার তৃণমূল বিধায়ক পারভেজ রহমানের উদ্যোগে। পুলিশ অভিযোগ মানেনি।

আরামবাগ থানায় জয়নালকে ধরার দাবিতে বিক্ষোভ।—নিজস্ব চিত্র।

আরামবাগ থানায় জয়নালকে ধরার দাবিতে বিক্ষোভ।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আরামবাগ শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৪ ০১:৪৮
Share: Save:

বালি খাদানের দখল নিয়ে আরামবাগের পূর্ব কৃষ্ণপুর গ্রামে রাজনৈতিক হানাহানিতে অভিযুক্ত জয়নাল খাঁ ও তাঁর তিন অনুগামীকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে থানায় বিক্ষোভ হল পুরশুড়ার তৃণমূল বিধায়ক পারভেজ রহমানের উদ্যোগে। পুলিশ অভিযোগ মানেনি।

বৃহস্পতিবার সকালে আরামবাগ থানায় ওই বিক্ষোভে পারভেজ হাজির ছিলেন না। তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন দিব্যেন্দু ঘোষ। বিক্ষোভে সামিল হন হাজার খানেক দলীয় কর্মী-সমর্থক। তার পরে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দবিতে তাঁরা আইসি অলোকরঞ্জন মুন্সির কাছে স্মারকলিপিও দেন। এই কর্মসূচিকে অবশ্য সমর্থন করতে পারেননি দলীয় নেতাদের একাংশই। তাঁদের বক্তব্য, শাসক দলের বিধায়ক হয়েও পারভেজ যে ভাবে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ সংগঠিত করেছেন, তা সমর্থনযোগ্য নয়। তিনি দলের অনুমতিও নেননি বলে তাঁদের দাবি।

পারভেজের দাবি, “অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো বা স্মারকলিপি দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধায়কের বাধা কীসের! আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে ওই কর্মসূচি পালন করেছি।” এ নিয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বলেন, “খবর পেয়েছি, খোঁজ নিয়ে দেখছি।”

মুণ্ডেশ্বরীর বালি খাদানের দখল নিয়ে রবিবার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষ বাধে হরিণখোলা পঞ্চায়েতের পূর্ব কৃষ্ণপুর গ্রামে। ওই এলাকায় বেআইনি বালি কারবারের প্রধান অভিযোগ রয়েছে জয়নাল খাঁ নামে এক নেতার বিরুদ্ধে। যিনি বারবার দল বদলে ২০১১-এ কংগ্রেসে যোগ দেন। সেই জয়নাল দলবল িয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে খবর ছড়াতেই গোলমাল বাধে। দুই তৃণমূল কর্মী প্রহৃত হন। জয়নালের কয়েক জন অনুগামীর বাড়িতে ভাঙচুর, লুঠপাট এবং খড়ের গাদায় অগ্নিসংযোগের পাল্টা অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

জয়নাল ও তাঁর তিন অনুগামীর বিরুদ্ধে থানায় দলীয় কর্মীদের খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছিল তৃণমূল। জয়নালের বিরুদ্ধে ওই গোলমাল ছাড়াও ন’জনকে খুনের পুুরনো মামলা এবং তোলাবাজি, বোমাবাজি-সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। কিছু মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন।

এ দিন তৃণমূলের তোলা নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ পুলিশ উড়িয়ে দিয়েছে। পুলিশের দাবি, অভিযুক্তেরা পলাতক। তাদের খোঁজ চলছে। জয়নাল দাবি করেছেন, “সরকারে থেকে পুলিশের কাছে বিক্ষোভ দেখিয়ে নিজের কফিনে একটি পেরেক পুঁতলেন বিধায়ক। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে পুলিশ গ্রেফতার করতেই পারে। যে সব পুরনো খুনের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল, তার একটিতেও আমাকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করেনি।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE