এখানেই কাদা চাপা দিয়ে রাখা হয়েছিল বালিকার দেহ। নিজস্ব চিত্র ।
হাওড়ার একটি প্রত্যন্ত গ্রামে বালিকা খুনের ঘটনায় শুক্রবার তার দুই প্রতিবেশী যুবক গোপন জবানবন্দি দিলেন উলুবেড়িয়া আদালতে। পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার দিন, অর্থাৎ, রবিবার রাতে ওই বালিকাকে শেষ যাঁরা দেখেছিলেন, তাঁদের মধ্যে ওই দু’জন ছিলেন।
বারো বছর বয়সি মেয়েটি ওই রাতে বিপত্তারিণী পুজোর ভাসান দেখতে গিয়েছিল। অভিযোগ, রাত ৮টার কিছু পরে প্রতিবেশী এক যুবক মেয়েটিকে জল আনতে পাঠায়। মণ্ডপের পাশের বাড়ি থেকে মেয়েটি জল নিয়ে আসার সময় যুবকটি তার মুখ চাপা দিয়ে একটি নিকাশি খাল পেরিয়ে ঝোপে নিয়ে যায়। মেয়েটি চিৎকার করলে যুবকটি তার গলা টিপে খুন করে। খেতের কাদামাটিতে মুখ ঠুসে ধরে। তার পরে দেহ মাটিচাপা দিয়ে বাড়ি ফিরে যায়।
অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। জানা গিয়েছে, হাওড়া গ্রামীণ জেলার পদস্থ আধিকারিকেরা দফায় দফায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। পুলিশকর্তাদের দাবি, ধৃত দোষ স্বীকার করেছে। তবে, ঠিক কী কারণে মেয়েটিকে খুন করা হল, তা এখনও পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। যেখান থেকে মেয়েটির দেহ উদ্ধার হয়, সেই জায়গাটি ঘিরে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। শীঘ্রই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে। ফরেন্সিক দল ঘটনাস্থলে আসবে।
এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘গ্রামের মানুষ সহযোগিতা করলে খুব তাড়াতাড়ি তদন্ত শেষ করে চার্জশিট দেওয়া হবে।’’ বালিকার পরিবারের লোকজন এবং প্রতিবেশীরা জানান, তদন্তে সব রকম সহযোগিতা তাঁরা করবেন। পুলিশের দাবি, মেয়েটির দেহ উদ্ধারের পর থেকেই অভিযুক্তের পরিবারের লোকেরা পলাতক। এলাকায় পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy